Sedin Choitro Mash - Session 1
Episode - 3
A College Love Story
I will lose my way dear,
I didn't lose my way.
Let's hold hands dear,
The hand did not go beyond.
I have very little time.
Still untimely to you,
I didn't bother...
Sedin Choitro Mash
Episode 3
গমগমে ভরাট গলায় ঈশান পাঠ করে যাচ্ছে কবিতা,,আর সবাই শান্ত হয়ে মুগ্ধ চোখে তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ।।।পড়ার সময় ঈশান খুবই স্ট্রিক্ট,,কোনোরকমের ফাঁকিবাজি সে পছন্দ করেনা।।সবাই যখন তার দিকে চেয়ে থাকতে ব্যস্ত ছিল সেই ফাঁকে ঈশান ও একবার চোরা চোখে কলির দিকে দেখে নিল।।।
আচ্ছা মেয়ে তো তখন থেকে খাতার মধ্যে কি লিখে যাচ্ছে,,একবারও চোখ তুলে তাকানোর প্রয়োজন মনে করেনি।।দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা আমার ক্লাসে বসে ফাঁকি দেওয়া,,উমম হম্ম আমি মেনে নেবনা।।
একটু গলা ছেড়ে ঈশান কলিকে ডাকলো,,,,এই যে 3rd নম্বর বেঞ্চের কোনার দিকের মিস ,,,,,,লাল ওড়না ওঠো,,,yes তোমাকেই বলছি ওঠো আর বল আমি এতক্ষন কি বললাম সেটার সারান্কশ বলো।।
নিজের দিকে স্যারকে তাকিয়ে থাকতে ও ডাকতে কলি কিছুটা ভয়ই পেয়ে গেল।।সে উঠে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঈশানের পড়াটার সারমর্ম বলতে শুরু করলো।।
"ভালোবাসার অর্থ শুধু ভালোবাসার মানুষকে বেঁধে রাখা নয়,,,তাকে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেওয়া।।অথচ তার সুখে না হোক দুঃখে তার পাশে থাকা,,,সে যদি তোমাকে নাও চায় তবুও তাকে বিরক্ত না করে ও তার ভালো চাওয়া"।।।। প্রতিটা লাইন যেন রোমান্টিসিম ভালোবাসার মুহূর্ত কে তুলে ধরছে
গোটা ক্লাস এমনকি ঈশানও অবাক হয়ে কলির দিকে চেয়ে আছে,,,সে ভাবেনি কলি এত ভালো করে গল্পের মতো বুঝিয়ে বলবে।।ও তো ভেবেছিলো কলি বোধহয় ওর কথা শোনেই নি।।।সবার আওয়াজে ঈশানের ধ্যান ভাঙে।।ও কলিকে জিজ্ঞাসা করে,,,,,তোমার নাম কি।।
কলি --আমার নাম কথাকলি বন্দ্যোপাধ্যায়।।
- ঈশান মনে মনে দুবার নামটা উচ্চারণ করলো।।তারপর ওকে বললো ,,খুব ভালো ভাবে তুমি পড়াটা বুঝেছো এতে আমি খুব খুশি হলাম।।কিন্তু তুমি অনেক্ষন থেকে খাতায় মনে হচ্ছে কিছু করছিলে দেখি দাও কি করছিলে,,,,বলেই কলিকে খাতাটা চাইলো।।
- এদিকে কলির অবস্থা খারাপ,,কারণ ও খাতায় কলেজে যে দোলে ফাংশান হবে সেটারই একটা লিস্ট বানাচ্ছিলো।।।
- ঈশান ওর কাছে এসে যেই খাতাটা নেবে তখনই ক্লাসে প্রিন্সিপাল আসলো।।।সবাই প্রিন্সিপালকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়েছে ঈশানও কলির থেকে সরে এসে প্রিন্সিপালের কাছে দাঁড়ায়।।
- হ্যালো ইয়ংম্যান পড়াতে কোনো প্রব্লেম হচ্ছেনা তো তোমার।।।
- না না স্যার আমার কোনো প্রব্লেম হচ্ছেনা আর এরা খুব মনোযোগ দিয়েই আমার পড়া শুনছে।।
হম্ম বুঝলাম তবে স্টুডেন্ট তোমাদের কাছে আজকে আমি দুটো কথা বলতে এসেছি,,,এক প্রফেসার চ্যাটার্জী আমাদের এখানে পার্টটাইমের জন্যই এসেছে,,,আসলে প্রফেসার ঘোষ একটু অসুস্থ তাই ওনার বদলে কিছুদিন ইনি তোমাদের ক্লাস নেবেন।।
এইবার আসি দ্বিতীয় কথায়,,,,,,তোমরা জানো সবাই দোলে আমাদের কলেজে প্রত্যেক বছর একটা ছোট করে অনুষ্ঠান হয়,,,সেখানে দুস্থ ছেলে মেয়েদের কিছু সাহায্য করা হয় আর একটু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।।।তো এবছর তোমরা কে কে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে আর কি কি করবে সেটা প্রফেসার চ্যাটার্জিকে জানাবে।।।সবাই এক সাথে yes স্যার বলে।।সো প্রফেসার চ্যাটার্জী আপনি এই দায়িত্তটা কি গ্রহণ করবেন?
নতুন গল্পের প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
পর্ব ১
ঈশান একটু হেসে নিজের মাথা নাড়ালো,,,,হম্ম স্যার এইটা খুব ভালো কথা আমি নিশ্চই গ্রহণ করবো।।।
প্রিন্সিপাল বলে যাবার পর ঈশান সবাইকে একে একে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো ও নামের একটা লিস্ট বানালো।।।
মিলি-- এই কথা তুইও নাম দে নাচে।।
- হ্যা হ্যা আমাদের কথারানী যা সুন্দর নাচে ওকে তো নাম দিতেই হবে।।।
- সবার ফুসফুসানি শুনে ঈশান মিলিকে বললো any problem তোমাদের?
- no no স্যার আসলে আমরা সবাই মিলে কথা মানে কথাকলিকে বলছিলাম যে নাচে নাম দিক।।ঈশান শুনে কথার দিকে দেখলো,,,ও মুখ নিচু করেই বসে আছে।।।
- মিস কথাকলি তুমি কি নাচে পার্টিসিপেট করবে?
- কথা ঈশানের দিকে তাকিয়ে শুধু ঘর নারে যে ও পার্টিসিপেট করবে।।ঈশান ওর নাম লিখে রাখে লিস্টে।।।
- এরপর অনেকেরই নাম লেখা হয় তারপরই বেল বাজে ও ক্লাস শেষ হয়।।
ঈশান বেরিয়ে যাবার আগে একবার কলিকে দেখে নিয়ে যায়,,,,এটা অবশ্য অন্যরা কেউ দেখেনা কিন্তু রোহান ঠিক লক্ষ্য করে যে ওর দাভাই কথাকে দেখেছে।।।রোহানের ঠোঁটে হাসি খেলে যায়।।
- রোহান উঠে এসে কথাদের সামনে দাঁড়ায়,,,,hi আমি রোহান।।সবাই রোহানকে দেখে ওর সাথে আলাপ করে।।hi আমি রিয়া,,,আমি আকাশ,,,আমি পূজা,,,আমি কথা,,,,আর এএএএ ,,,, এ হলো মিস ফুলঝুরি।।।আকাশের কথা শুনে সবাই হোহো করে হেসে দিলো আর রোহনও।।
- মিলি সবাইকে স্পেশালি রোহানকে হাসতে দেখে মাথাটা গরম হয়ে গেল,,,,,ও আকাশকে ,,,,এই আকাশের বাচ্ছা ভালো চাস তো আমাকে আর একবার ফুলঝুরি বলে ডেকে দ্যাখ, তোকে যদি পাতালে না ঢুকিয়ে দিয়েছি তবে আমার নাম,,,,বলতে যাবেই মিলি তার আগেই রোহান বলে দিলো,,তবে তোমার নাম ধানীলংকা নয়,,,,,বলেই হাসতে লাগলো।।।রোহানের কথাতে সবাই মুখ টিপে হাসছিলো,,,এতে মিলির খুব রাগ হয়।।।
- এই যে ড্রাইভার তুমি আমাকে ধানীলংকা বলার সাহস পেলে কি করে।।।
- মিলির কথা শুনে রোহান বলে,,,,প্রথমত আমি ড্রাইভার নই আর দ্বিতীয় হলো যার যেটা নাম আমি তাকে সেই নামেই দেখেছি।।।
মিলি ----you ড্রাইভার তোমাকে আজকে খুন করেই রেখে দেব।।।
বেগতিক দেখে কথা মিলিকে নিয়ে ক্যান্টিনের দিকে দৌড়ালো।।।আর ওদের পিছনে ওর বন্ধুরাও গেল।।
Thanks for your feedback