একটি রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ইভান ও কলির পথচলা
একটি অদ্ভুত মিলনের গল্প কোলাহলপূর্ণ রাতটিকে জীবন্ত করে তোলে। কিন্তু এক ঝলকের স্মৃতি এবং কলির গভীর চোখের জলের অনুভূতি ইভানের মনের ভেতর কেন আলোড়ন তোলে?
পরিচিতি
কলি, সরল এবং মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে, যার জীবন গড়ে উঠেছে তার পরিবার এবং প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে। অন্যদিকে ইভান চ্যাটার্জী একজন ধনী ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, কিন্তু অন্তরে তিনি খুব মানবিক, কলির সঙ্গে রাস্তায় দেখা হওয়া তাকে অস্থির করে তোলে
ইভানের গাড়ি যখন চ্যাটার্জি ম্যানশন এর সামনে এসে দাঁড়ালো তখন রাত এগারোটা বেজে গেছে।
বাড়ির ভেতর ঢুকে ড্রয়িং রুমে এসে দেখে সবাই ওর জন্য অপেক্ষা করছে।।
**বাবিন তর ফ্লাইট তো অনেক আগেই ল্যান্ড হয়ে গেছে তবে তোর ফিরতে এতো রাত হলো কেনরে,,,,ইভানকে বললেন আশা দেবী।।
**হ্যারে ভাই তুই তো আমাকে অনেক্ষন আগে বললি যে,,তুই বাড়ি যা দাভাই আমি এক্ষুনি আসছি।।তাহলে?
- সবার প্রশ্ন ও কৌতূহলের দৃষ্টি দেখে ইভান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললো।।তারপর বললো,,,,আজকে ফেরার সময় রাস্তায় একজন অসুস্হ মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন তাই তাকেই হেল্প করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেছে।।।এরপর ও একে একে সব কথাই বললো কিন্তু কলির সাথে একান্ত কিছু মুহূর্তু গুলো ছাড়া।।
- সবাই ওর কথা শুনে যেমন অবাক হয়ে গেছে বেস্ট গর্বে ওদের বুক ফুলে যাচ্ছে।।
- আশাদেবী ছলছল চোখে ইভানের সামনে এসে ওকে জড়িয়ে ওর মাথায় স্নেহের পরশ দিয়ে বললেন,,,,আমি জানতাম আমার শিক্ষা কোনোদিনই এতটা ঠুনকো নয় আর আজ সেটা প্রমাণিত হলো।।।অনেক বড়ো হও তুই।আর এই ভাবেই দুস্থদের পাশে দাঁড়া।।
- অলোকবাবু পাশে এসে ইভানের পিঠ চাপড়ে বললেন ,,,i am proud of u বেটা ।আজকে অশোক বেঁচে থাকলে তর ওপর ওদের আরও গর্ব হত,,বলেই তিনি ইভানকে জড়িয়ে নিলেন।।এরপর একে একে ঈশান, রোহান ও ওকে জড়িয়ে ধরলো।।
- **ওওওও সবাই একসাথে আদর খাওয়া হচ্ছে আর আমি নাকি বাদ ! বলেই সিঁড়ি দিয়ে মুখ পেঁচকে ওদের বোন ঈশানী নেমে এলো।।বোনকে মুখ ফলাতে দেখে রোহান ওর মাথায় মেরে বললো,,,এই শাকচুন্নি আমাদের ঘাড়ে কটা মাথা যে তোকে ছাড়া আদর খাবো।।তারপর দেখা গেল আমাদের মুন্ডু টাই নেই।।।ওর কথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।।আর আমাদের ঈশানী মানে ঈশু রানী রেগে গিয়ে রোহানকে মারতে ছুটলো,,,,,,, দাঁড়া বলছি রোহানের বাচ্ছা আজকে তোকে যদি শেষ না করে দি তবে,,,,,,,,,,,,,,,,"তবে তোর নাম শাকচুন্নি নয়"।।
- বলেই রোহান এবার ইভানের পিছনে লুকালো।।
**এই মেজদাভাই তুই সর আজকে একে মেরে তক্তা না বানিয়েছি তবে আমারও নাম ঈশানী নয়।।
**ঈশানীর দুটো হাত ধরে ইভান ওকে জড়িয়ে ধরে বলে,,,,ওরে থাম অনেক রাগ হয়েছে।আমি একবছর পর ফিরলাম আমাকে আগে একটু দেখতে দে তোকে,,,,কতদিন দেখিনি আমি আমার এই ছোট্ট প্রিন্সেসকে,,,বলেই ঈশুর কপালে একটা স্নেহের পরশ দিলো ইভান।।
**i miss u দাভাই,,,,,ঈশুও ইভানকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললো।।।
ওদের এই রকম একে ওপরের প্রতি ভালোবাসা দেখে সবাই মনে মনে খুব আনন্দিত।।আশাদেবী ঈশ্বরকে মনে মনে ডাকলেন "ঠাকুর দেখো এরা সব ভাইবোনেরা যেন এইভাবেই সবসময় সাথে থাকে,,এদের ভালোবাসায় যেন কোনো নজর না লাগে সেটা তুমি দেখো ঠাকুর"।।।
**এই যা তুই ফ্রেশ হয়ে নে আমি খাবার রেডি করছি,,তোর জন্য সবাই অপেক্ষা করছিলো একসাথে খাবে বলে।।যা আর দেরি করিস না।।আর এই দুই বাঁদর আর বাঁদরী তোদের লাফানো বন্ধ করে খেতে বস।।বাবাই,,,তুইও আয়,,,কিগো এসো তুমিও,,,,।।
এই যে যাচ্ছি আমরা,, ঈশান ও অলোকবাবু দুজনেই বললো।।
গল্পের টার্নিং পয়েন্ট (Turning Point):
**নিজের ঘরে এসে ঘরের জামা প্যান্ট নিয়ে বাথরুমে গেল।।শাওয়ারের ঠান্ডা জলের স্পর্শে নিজেকে সিক্ত করছিলো চোখ বন্ধ করে।তখনই ওর বন্ধ চোখের মাঝে একজোড়া গভীর দীঘির মতো টল টলে চোখ ফুটে উঠলো।।নিমিষেই ইভানের চোখ খুলে গেল ।।
এ আমি কি দেখলাম?আমি কেন কলিকে দেখলাম?কেন ওর চোখের জল আমার সহ্য হয়না? কেন তখন মা ওই কথায় আমার রাগ হলো?,,,,,কেন ,,,,কেন?
নিজেই নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে লাগলো।।
- **দাভাই তোর হলো,,,,,,ঈশু এসে দরজায় ধাক্কা দিলো।।
- তুই যা আমি 5 মিনিটেই যাচ্ছি।।বলেই ইভান বাথরুম থেকে বেরিয়ে রেডি হয়ে নিচে এলো।।
- সবাই গল্প আনন্দে খাবার খেয়ে শুতে গেল।।
- এদিকে,,,,,,,
- মনি তুমি যাও সকাল থেকে অনেক কাজ করেছো একটু রেস্ট নাও আমি এই কটা বাসন ঠিক মেজে নিতে পারবো।।
- না রে মা কালকে তোকে সকালে মিতার কাছেও যেতে হবে আর তারপর কলেজ, তুই যা মিলির সাথে ঘুমো গিয়ে।।গীতাদেবী কলিকে বললেন।।
- গীতাদেবীকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কলি বললো,,,তোমার বান্ধবী যেমন আমার মা তেমন তুমিও আমার আরেক মা।আমি জানি কালকে পূর্ণিমা ছিল টাই তোমার পায়ের ব্যথাটা আবার বেড়েছে।তাই বেশি না বকে যাও তো তুমি গিয়ে শুয়ে পর, আমি বসন্তা মেজে নিয়ে একটু রসুন টেল করে আনবো আর তোমার পায়ে মালিশ করে দেব।দেখবে অনেকটা আরাম পাবে।
কলির কথা শুনে গীতাদেবীর চোখে জল এলো,,কি মিষ্টি মেয়ে,,যেমন তার শান্তরূপ বেস্ট তার শান্ত স্বভাব।সবাইকে খুব সহজেই আপন করে নিতে পারে তার এই বান্ধবীর মেয়েটি।।তাই উনি আর কিছু না বলে নিজের ঘরে চলে গেলেন।।
সব কাজ মিটিয়ে কলি এলো তার ঘরে,,,তার ঘর মানে মিলির ঘরে।।মিহির দার সাথে তার ভাই সায়ন শুয়েছে আর মিলির সাথে সে।।
ঘরে এসে দেখে মিলি চারদিকে বই ছড়িয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে।।
হে ভগবান,,,এই মেয়েটাকে নিয়ে কোথায় যাবো।সারা বিছানায় বই ছড়িয়ে রেখে।উফফ কি যে করবো এই মেয়ে কে নিয়ে সেটা মহাদাই যেন ।।
কলি সব বই টেবিলে রেখে জল খেয়ে তবে শুতে গেল।। কিছুক্ষন পরেই সে আচমকাই চমকে চোখ খুলে নিলো।।
সমাপ্তি (Conclusion):
অন্যদিকে কলি, তার মায়ের বন্ধু গীতাদেবীর যত্ন নিচ্ছে, যেমন মিষ্টি এবং শান্ত মেয়ে সে, সকলের ভালোবাসায় নিজেকে নিমজ্জিত করে রেখেছে। কলির নিরলস ভালোবাসা ও যত্নশীল মনোভাব ধীরে ধীরে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে। দুই ভিন্ন জগতের এই দুটি চরিত্র কিভাবে একে অপরের জীবনকে রূপান্তরিত করবে
FAQ
ইভানের মনের গভীরে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তর কি সে খুঁজে পাবে?
- ইভান কেন কলির মুখের বিষণ্ণতা তার হৃদয় ছুঁয়ে যায়? পরবর্তী পর্বে কি সে নিজের অনুভূতির সত্য উপলব্ধি করতে পারবে?
কলি এবং ইভানের পরবর্তী সাক্ষাৎ কীভাবে তাদের সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে?
- একবার দেখা হলে কী তারা একে অপরকে আরও কাছ থেকে বুঝতে পারবে নাকি দূরত্ব আরও বেড়ে যাবে?
গীতাদেবীর চরিত্র কি কোলির জীবনে নতুন কোনও বাঁক আনবে?
- কলি এবং গীতাদেবীর সম্পর্কের আরও গভীরতা কি পরবর্তী পর্বে প্রকাশ পাবে?
ঈশানের এবং ইভানের সম্পর্কের মধ্যেকার মজার মুহূর্তগুলো কীভাবে গল্পের ভারসাম্য বজায় রাখবে?
- গল্পের মধ্যে ঈশান এবং ইভানের হাস্যরস সম্পর্কের গভীরতায় নতুন রঙ আনবে কি?
ইভানের পরিবার কি কলি সম্পর্কে কিছু জানতে পারবে?
- ইভানের মনোযোগ যে ধীরে ধীরে কলির দিকে যাচ্ছে, সেটা কি তার পরিবার উপলব্ধি করতে শুরু করবে?
কলির জীবনে নতুন কোনও চ্যালেঞ্জ আসবে কি?
- কলির নিরলস সংগ্রামের মধ্যে কি নতুন কোনও সংকট অপেক্ষা করছে যা তাকে আরও দৃঢ় করবে?
Related Posts/Links
আরও পড়ুন: সেরা বাংলা রোমান্টিক গল্পসমূহ
Bondini - Session 1
Sedin Choitro Mash - Session 1
Thanks for your feedback