Sedin Choitro Mash - Session 1
Episode - 4
A College Love Story
Sedin Choitro Mash
Episode 4
ঈশান স্টাফ রুমে নিজের খাতা গুলো গোছাচ্ছিল আর কথার ব্যাপারে ভাবছিলো,,তখনই ওর ফোনটা বাজতে ধ্যান ভাঙলো! বল ভাই ,,,,,,,,
কি বলবো বল তোর না আমাকে রিসিভ করার কথা ছিল! আমি 10 মিনিট হয়ে গেল ল্যান্ড করেছি,,আর তোর দেখা নেই।।।রেগে গিয়ে ইভান বললো।।।
উফ্ফ্ ভাই এতো রেগে যাস কেন বলতো তুই! তোকে কালকেই বললাম আজকে আমার কলেজের ফার্স্টডে,,, আর আমি তো রফিক চাচাকে তোকে রিসিভ করতে গাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি,,,তুই চলে আয় আমিও জাস্ট বেরোচ্ছি রোহানকে নিয়ে।।
হম্ম আয় দেখা হচ্ছে বাড়িতে,তবে আমি একবার অফিস থেকে ঘুরে আসবো,,অনেকদিন যায়নি দেখি কি অবস্থা।।
এই তোর বড়ো বাজে দোষ একটু কি রিলাক্স করতে পারিসনা ,,শুধু কাজ আর কাজ।।
প্লিজ দাভাই তুই অন্তত মায়ের মতো বলিসনা,,জানিস তো একটু ঢিল দিলেই সবাই কেমন মাথায় চড়ে বসে।।তাই আমি একটু দেখে আসি সবাই কাজ ঠিক মতো করছে কি না।।
যা ভালো বুঝিস কর,,আমি রাখলাম সন্ধ্যেবেলায় দেখা হচ্ছে বাই।।
- ফোনটা রেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রফিক চাচাকে বললো,,,কেমন আছো চাচা,বাড়ির সব কেমন আছে আর রাজুর কি খবর? মুসকানের বিয়ের ব্যবস্থা কি হলো।।
- আপনাদের দোয়ায় সব ভালো আছে ছোটোসাহেব।।
- আহ চাচা আমাকে ছোটোসাহেব নয় ইভান বাবা বলে ডাকো যেমন ছোটবেলায় বলতে।।
- রফিক চাচা একটু হেসে গাড়ি স্টার্ট দিলো।।।
- গাড়িতে বসে ল্যাপটপে কিছু কাজ করছিলো ইভান , হঠাৎ ঝাকুনি দিয়ে গাড়ি থামতে ইভান রফিককে বললো,,,,,কি হলো চাচা গাড়ি থামালে কেন?
![]() |
Ivan Chatterjee |
ইভান বাবা গাড়ির সামনে এক ভদ্রমহিলা আর একটা বাচ্ছা ছেলে আসে গেছে।।
সেকি লাগেনি তো ,,,,বলেই গাড়ি থেকে এক ঝটকায় নেমে যায়।।
মায়ের মাথা কোলে নিয়ে বছর 12 এক ছেলে কেঁদে যাচ্ছে ও মাকে সমানে ডেকে যাচ্ছে।।।মা ও মা ওঠো না কি হলো তোমার কথা বলছনা কেন? আমার খুব ভয় করছে তুমি চোখ খোলো না।।।
বাচ্ছাটার এমন কান্না দেখে ইভানের খুব খারাপ লাগছিলো,,,ও ছেলেটার মাথায় হাত দিয়ে বললো কি চ্যাম্প কান্না কেন করছো আর সরো দেখি আন্টিকে দেখি কি হয়েছে।।
কান্না ভরা চোখ দিয়ে ছেলেটি ইভানের দিকে তাকালো,,দাভাই দেখুন না একটু আমার মা কথা বলছেনা,,এইতো আমাকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলো,,,এর মধ্যে মাথা ঘুরে পড়ে যায়,,এখন এতবার ডাকছি তাও সারা দিচ্ছেনা,,মা ছাড়া যে আমার আর দিভাইয়ের কেউ নেই গো।।।
ইভান মহিলাটির পালস চেক করে দেখলো খুব স্লো চলছে,,,ও রফিক চাচাকে ডাকলো ,,,,,,,চাচা,,,একবার আসো এনাকে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে এক্ষুনি।।
নতুন গল্পের প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
পর্ব ১
হসপিটালের কথা শুনেই চাচা তাড়াতাড়ি মহিলাটিকে নিয়ে গাড়িতে তোলেন আর ইভান ছোট ছেলেটাকে নিয়ে গাড়িতে বসে।।।
চ্যাম্প তোমার বাড়িতে বড়ো কেউ আছে আর তার ফোন নম্বর কি তোমার কাছে আছে?
দাভাই আমার দিভাই আছে আর কেউ নেই,,আর দিভাইয়ের নম্বর আমার আই কার্ডে লেখা আছে এই নাও,,বলেই ও আইকার্ডটা ইভানের হাতে দিলো।।।
ওইদিকে,,,,,,,
বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে কলি হঠাৎ ওর ফোন বাজতে ও দেখে একটা আননোন নম্বর থেকে কল আসছে,,,,,,,,,,,,হ্যালো,,,,,,,,,কে বলছেন?
- কথার আওয়াজ শুনে খানিকক্ষণ ইভান স্তব্দ হয়ে গেছিলো,,,,,কি মিষ্টি সেই গলার আওয়াজ,,
- ,হ্যালো,,,,কে বলছেন?
- ,হ্যালো মিস আমি জীবনদীপ হসপিটাল থেকে বলছি ,,আপনার মা অসুস্থ অনেকে এডমিট করতে হয়েছে উনি এখন আইসিউতে আছেন।।আপনাকে এড্রেস দিয়ে দিচ্ছি আপনি তাড়াতাড়ি চলে আসুন।।
- ,কিছুক্ষন কোনো কথাই বুঝতে পারেনি কলি।।
- ওর মা হসপিটালে ভর্তি তাও আবার আইসিউতে,,,,
,হ্যালো মিস আপনি শুনতে পাচ্ছেন?হ্যালো
- হ্যা হ্যা আম,,,,আমি এক্ষুনি যাচ্ছি বলেই ফোন টা কান থেকে নামিয়েই দৌড়ে একটা ট্যাক্সি দার করলো,,,,,,, দাদা জীবনদীপ হসপিটাল চলুন এক্ষুনি।।
- ফোন কেটে যাবার পরও ইভান তখনো কানে চেপে ধরে ছিল,,,,,মেয়ে টা কি কাঁদছিলো?হম্ম কাঁদাই স্বাভাবিক,মায়ের এইরকম অবস্থা হলে কারোরই মাথার ঠিক থাকেনা।।।
- মিস্টার চ্যাটার্জী,,,,ওহ ডক্টর! যাকে ভর্তি করলাম তিনি এখন কেমন আছেন?
- উনি আপাতত স্টেবল বাট একটা প্রবলেম হয়েছে ওনার হার্টে বেশ কটা ব্লকেজ দেখা গেছে।।।
- আমার মতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভম অপারেশন করে নেওয়া উচিত।।
- ডক্টর আপনি যেটা ভালো বুঝবেন করুন টাকা পয়সার ব্যাপারে কিছু চিন্তা করবেননা।।
- ওকে বাট পেসেন্টের বাড়ির লোকেরা যদি আপত্তি করে আর অপারেশনের জন্য সাইনও করতে হবে।।
হম্ম ওনার মেয়ে আসছে আপনি কথা বলে নিন বাট টাকার জন্য কিছু বলবেননা।।যতদূর দখলাম মনে হয়না ওরা 10লাখ টাকা দিতে পারবে।।তাই আমি ওনার জন্য ফুল পেমেন্ট আর যতদিন থাকবে সেগুলোর পুরো পেমেন্ট করে দিচ্ছি।।
ডক্টর অবাক হয়ে কিছুক্ষন ইভানের দিকে তাকিয়ে রইলো,,,কৌতুহল চেপে না রেখে উনি ইভানকে বললো,,,,,,,পেসেন্ট কি আপনার কেউ চেনা জানা,,,,না মানে এত গুলো টাকা?
- ইভান হেসে বললো না আমার চেনা কেউ নয় কিন্তু আমি জানি এই পৃথিবীতে মা বাবা না থাকলে কি হয়।।তাই আমি চাইনা কেউ অনাথ হয়ে যাক।।।
- ডক্টর ওর কথা শুনে একটু হেসে সোজা অপারেশন থিয়েটারের দিকে চলে যায়।।।.
- আর ইভানের চোখ দিয়ে একফোঁটা জল গড়িয়ে পরে।।কারণ তার ও যে এই পৃথিবীতে মা বাবা কেউ নেই।।ছোটবেলায় এক এক্সিডেন্টে ওর বাবা মা চিরকালের জন্য ওকে ছেড়ে চলে গেছে।।।
- ফোনের আওয়াজ শুনতেই চোখের জল মুছে ও সামনের দিকে এগিয়ে যায়।।।।।।
(ইভান চ্যাটার্জী,,,,, the most handsome bachalar,,,,,,, কলকাতার টপ 10 এর মধ্যে ওর নাম আছে।।যেমন দেখতে তেমনই পার্সোনালিটি ,,,,,6" লম্বা,,পেটানো বডি,,কাঁধ অব্দি সিল্কি চুল,,,গায়ের রং মাজা তবে ওর সবচেয়ে আকর্ষণ হলো ওর চোখ,,,, খুব ভাসা ভাসা আর খুব গভীর।।যে ওর দিকে একবার দেখে সেই ওর চোখে ডুবে যেতে বাধ্য। তবে বড্ডো রাগী,,হয়তো নিজের দুর্বলতাকে ঢাকতেই এই রাগ তাকেই ওর ঢাল বানানো।।)
FAQ
ভালোবাসার এই গল্প এ ইভানের চরিত্রে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার ছোঁয়া আছে। জানতে পড়ুন পরবর্তী পর্বগুলো
ছোট্ট ছেলেটির ভবিষ্যৎ কি ইভান ও কলির বন্ধনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে? কে হবে বাংলা প্রেমের এই গল্পের সত্যিকারের নায়ক ?
জানতে চোখ রাখুন মনের আঙ্গিনায়
Thanks for your feedback