Bondini - Session 1 । Episode - 2 । Sad Valobashar Golpo 2024
বন্দিনীর দ্বিতীয় পর্বে নায়িকার জীবনে শুরু হয় নতুন নাটকীয়তা। সম্পর্কের টানাপোড়েন, অব্যক্ত অনুভূতি আর এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে কাহিনি।
আবেগ, জটিল সম্পর্ক আর অপ্রত্যাশিত ঘটনার মোড়ে ভরপুর এই কাহিনিটি পড়ুন।
বন্দিনী:- পর্ব -- ২
সিট,,,সিট,,,ম্যান,,,,,,,মীরা যে এইভাবে হুট করে চলে আসবে সেটা আমি একদম বুঝতে পারিনি।এবার আমি কি করে বোঝাবো ওকে।ও তো কিছুই শুনতে চাইছেনা।
,
তুমি তো ওকে ফোন করেছিলে,আর অত তখন বললো ও টিউশানিতে আছে ।তাহলে এতো তাড়াতাড়ি কি করে আসলো?
,
ইশ আমাকে বলেছিলো আজকে একটা সারপ্রাইজ আছে আমার জন্য।কিন্তু সেটা এইভাবে হবে আমি ভাবতে পারিনি।সবটা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।কি করবো সেটা বুঝতেই পারছিনা।
,
তৃণা সাহিলের কাঁধে হাত রেখে বলে,,,,আজ নাহয় কাল আমাদের বিষয়টা ওকে বলতেই হত।তখন ওর রিএক্শন যদি এমন হত তাহলে কি করতে ।তারচেয়ে যেটা হয়েছে ভালোই হয়েছে।আমি আর এইভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে তোমার সাথে মিট করতে পারছিলামনা।আর সত্যি বলতে তোমাকে ওর সাথে দেখলে আমার খুব রাগও হত। তৃণা মুখটাকে ভার করে বললো।
,
তুমি বুঝতে পারছোনা ডার্লিং আমি ওই ন্যাকা মীরাকে ভালোবাসিনা।আমি তো ভালোবাসি ওর বাবার সম্পত্তিটাকে।যতই ও রাজপূতদের নাম,টাকাপয়সা,ঐশ্বর্য্য থেকে নিজেকে দূরে রাখুকনা কেন, আর যতই ও লোকাকনা কেন আমি জানি মিহির রাজপূত ঠিক তার অবৈধ বোনের খোঁজ নেয়।তার সাথে দেখা করে মাঝে মধ্যে।
,
কিহ,,,অজয় রাজপূত মানে দ্য গ্যালাক্সির সিইও মিস্টার এ.রাজপূত।মোস্ট ব্যাচলার এন্ড হ্যান্ডসাম।ওয়াওওও সাহিল আমি ভাবতেই পারছিনা মীরা ওর বোন।আর আমি এতদিন জানতামই না।
,
তৃণার লোভ চকচক করে ওঠা মুখ চোখ দেখে সাহিল ভ্রু কুঁচকে বললো,,,,,,জানলে কি করতে আমাকে ছেড়ে দিয়ে ওই অজয়ের সাথে শুয়ে পড়তে?লিসেন তৃণা ডার্লিং আমাকে ডিচ করার কথা জীবনেও ভেবোনা।কারণ আমি তোমার অন্যান বয়ফ্রেন্ডদের মতো নয় যে তুমি মিশলে,খেলে আর ছুড়ে ফেলে দিলে।
এই সাহিলের যদি কোনো কিছুতে মন আটকে যায় তবে সেটা শুধু তারই থাকে।আর সেটা যদি না হয় তবে সেই জিনিসটাকেই এই পৃথিবী থেকে মুছে দেয় ।একটা হিংস্র চাহুনি দিয়ে তাকিয়ে হাসলো সাহিল তৃণার দিকে।
,
সাহিলের এমন কথায় মনে মনে একটা শিরশিরানি ভয় দ্রুত নেমে গেলো ওর শিরদাঁড়া দিয়ে।কিন্তু মুখে বললো,,,,ওহ কাম অন সাহিল,,,আমি কি ওই কথা বললাম নাকি।আমি জানি তো তুমি আমাকে কত্ত টা ভালোবাসো।আর ইউ নো বেবি আমিও তো তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি।আর তাইতো আমি আমার বেস্টফ্রেন্ডকেও ধোকা দিতে পিছপা হইনি।সাহিলের ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো তৃণা।
তৃণার থেকে এমন আদর পেতে সাহিলও রেসপন্স করতে শুরু করলো।আস্তে আস্তে ওদের দেহের কামুকতা গোটা রুমে শিৎকারে পরিণত হলো।
,
,
সাহিল বর্মা,,,,,,,,,,বর্মা ইন্ডাস্ট্রির সিইও আর অনিতা বর্মার ছেলে।অনিতা বর্মা হলো মীরার মায়ের বেস্টফ্রেন্ড। ওরা যখন খুব ছোট তখন এই দুই বন্ধুই নিজেদের এই বন্ধুত্যটাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই বড়ো হলে ওদের বিয়ের কথা পাকা করে রাখে।তাই ছোট থেকেই মীরা জানতো সাহিলই ওর ভবিষ্যতের হাসবেন্ড।তাই ওর মনে কোনোদিনের জন্যেও কাউকেই জায়গা দেয়নি।
কিন্তু সাহিল হলো মীরার ঠিক বিপরীতধর্মী মানুষ।ওর কাছে মেয়ে মানেই দুদিন মেশা,তিনদিনের দিন তাকে বিছানায় পেসা আর চারদিনের দিন ছুড়ে ফেলে দেওয়া।
আর মীরার মতো ব্যাকডেটেড মেয়ে তো সাহিলের দুচোখের বিষ।কিন্তু ওর বাবার সম্পত্তির জন্যই ওকে এতদিন ও সহ্য করে যাচ্ছে।নাহলে কবেই জোর করে সব কিছু করে ওকেও আর সবার মতো আস্তাকুড়ে ফেলে দিত।
ওর তো এই তৃণার মতো মেয়েদের কে পছন্দ।উমমমম এই তৃণার জড়িয়ে একটা মাদকতা আছে।ওকে মানতেই হবে এতদিন যত মেয়ের সাথে ও বেড শেয়ার করেছে তৃণা ওদের সবার থেকে বেস্ট।আর তাইতো ও ভেবে রেখেছে একবার মীরার সব সম্পত্তি হাসিল করে নিক তারপর তৃনাকে বিয়ে করে নেবে ও। আর ওর মা যদি বাঁধা দেয় তবে ওর মাকেও বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবে নাহলে ওর বন্ধু মীরার মায়ের কাছে হসপিটালে পাঠিয়ে দেব।
,
,
তৃণা চৌধুরী,,,,,,,,,,, একজন উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।বাবা একজন গভরমেন্ট অফিসার আর মা একজন নামকরা ফ্যাশন স্টাইলিস্ট। স্বার্থপর,উচ্চ আকাঙ্খা পূর্ণ,অহংকারী একটা মেয়ে। নিজের স্বার্থের জন্য যেমন মীরার সাথে বন্ধুত্ব করেছিল ,ঠিক তেমনি সাহিলকেও নিজের প্রেমের জালে ফাঁসিয়েছে।
বেচারা মীরা,,,কি ভেবেছিলো আমি ওর বন্ধু হবো?
এই তৃণা নিজের ভালোর জন্য নিজের বাবা মায়ের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে সেখানে এরা তো কোন ছাড়।
তবে এই মুহূর্তে সাহিলকে রাগানো যাবেনা।মীরার মতোই আস্তে আস্তে মীরার ওই দাদার ওপর আমাকে প্রেমের জাল বিছাতে হবে। একবার যদি আমি মিহির রাজপুতের ওয়াইফ হয়ে যেতে পারি তবে এইসব সাহিলের মতো চুনো পুটিকে পায়ের তলায় পিষে মারতে এই তৃণার এক মিনিটও সময় লাগবেনা।সাহিলের সাথে শরীরে শরীর মেশাতে মেশাতে ভাবছিলো কথাটা তৃণা।গোটা ঘরটায় তখন কামনার চিৎকারে ভরে উঠলো আস্তে আস্তে।
-------- চলবে
Thanks for your feedback