Translate

বেলা শেষ নাকি বেলা শুরু - পর্ব - ৫

 

বেলা শেষ নাকি বেলা শুরু 

 পর্ব - ৫










 

!!!আজকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরিস মা অফিস থেকে।। 

,

কেন মা,,,কিছু কি দরকার আছে? না মানে কোথাও কি যাবে?নন্দিনী রেডি হতে হতে বললো ওর মাকে।।

,

ও মা মেয়ের কথা শোনো,,,,,আরে তোকে কালকেই তোহ তোর বাবা বললো,,ওনার ছোটবেলার বন্ধু অমল দার মেয়ের বিয়ে,,,আমাদের সকাল থেকেই তো বলেছে।।কিন্তু তোর অফিসের জন্য সকালে আর যাওয়া হবেনা তাই কাল বিকেল বিকেল নাহয় আমরা বেরিয়ে পড়বো।।

,

এই যাহ একদমই ভুলে গেছিলাম আমি।।আজকে যে রিয়া দিদির বিয়ে ,,,,সেটাই মাথা থেকে বেরিয়ে গেছিলো।।

,

মাথার আর কি দোষ,,,,নতুন জায়গায় নতুন সব চমক দেখছো তাই তোমার চোখ এখন ঝলসে যাচ্ছে।।বাড়ির কথা আর কি মনে থাকে? ননিবালা দেবী ফুট কাটলেন।।।

,

নন্দিনী চুপ করে মাথা নিচু করে নিজের কাজ করতে লাগলে সুনন্দা দেবী ওর মন ঠিক করতে বললেন,,,,,আজকে তুই আমার লাল হলুদের কাঞ্জিভরম টা পরিস।।ওটা তোর পছন্দের তো খুব।।

,

মায়ের কথা শুনে নন্দিনীর সব মন খারাপের মেঘ সরে গেলো।।আবার সে রোদ ঝলমলে আকাশের মতো কলকল করে বললো,,,,,,,,,তুমি খুব খুব ভালো মা।।আমার অনেকদিনের শখ ছিলো ওটা পরার।।থ্যাংক ইউ আজকে ওটা পড়তে দেওয়ার জন্য।।মাকে গলা জড়িয়ে বললো নন্দিনী।।

,

পাগলি মেয়ে একটা ,,,,,জানি তো তোর ঐ শাড়ি টা খুব পছন্দের,,,,,আর এটাও জানি আমার আর একটা শাড়িও তোর খুব পছন্দের।। ওই যে ময়ূর কণ্ঠি রঙ্গের শাড়িটা ,,,,,কি তাইতো।।

,

নন্দিনী ঘাড় নেড়ে বললো,,,,,,,হ্যা তো।।তুমি তো সবই জানো তাহলে বলছো যে ভারি।।।

,

কাককে যতই ময়ূর পালক পরাও না কেন বৌমা,,,কাক !!কাক কি হয়।।।তাই বেকার সাজিয়ে এই কেলেন্দিকে ওই বিয়েবাড়িতে নিয়ে যেওনা।।তাতে তোমাদেরই মান যাবে।।

,

ঠাম্মির কথা শুনে নন্দিনীর চোখের কোন ভরে এলো।।মা যাতে না বুঝতে পারে তাই ও বললো,,,,,,,মা খাবার দাও লেট হয়ে যাবে।।আজকে আবার অফিসের নতুন সিইও আসবে।।আর তিনি নাকি খুব রাগী।। টাইম নষ্ট করা পছন্দ করেননা।।

,

তুই বস আমি এক্ষুনি আনছি।।।

,

দ্রুত খাবার খেয়ে নন্দিনী অফিসের জন্য বেরিয়ে গেলো।।।

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, ** তুই**,,,,,,,,,,,,

নন্দু ,,,,তুই এসেছিস ? সত্যিই তুই তো ,,,,,বলনা।।

বাবা তুমি আমার নন্দুকে সত্যি এনে দিয়েছো।।

পাগলের মতো নন্দিনীকে ওর মুখে ,মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে কাঁদছে প্রিয়া।।

,

ও বললো,,,,,,

আমি তো ভেবেছিলাম তুই আমাকে আর ক্ষমা করবিনা এই জন্মে।। কতবার তোদের বাড়িতে ফোন করেছিলাম।।কতবার ছুটে গেছি তোদের বাড়ি।। কিন্তু কাকুর একটাই কথা ছিলো,,,,আমার মেয়ে এখানে থাকেনা।

ঠিকনা চাইলে বললো,,,,,,,,বিয়ের পর নাকি তোরা বিদেশে চলে গেছিস,,,,,তাই ওরা তোদের নতুন ঠিকানা জানে না।।।

,

বুকের মধ্যে একটা বড়ো পাথর যেন গড়িয়ে চলে গেল।।নন্দিনী প্রিয়াকে জড়িয়ে ধরেই বললো,,,,,,আমাকে ক্ষমা কর প্রিয়া ,,, তোর অপরাধী আমি। সেদিনকে যদি ঐ ঘটনাটা না হত তবে আজ হয়তো তুই সুখী হতিস সংসার করে।।

,

প্রিয়া নন্দিনীর চোখের জলটা মুছে একটা ম্লান হাসি ওর মুখে দেখা গেল।।ও বললো,,,,,,,,,,, আচ্ছা নন্দু!! সুখ কি? এই যে আমরা সকাল থেকে রাত অব্দি ছুটে বেড়াচ্ছি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে , সেটা কোন উদ্দেশ্যে? বলতে পারবি আমাকে।।

,

নন্দিনী ওর থেকে উঠে জানলার কাছে গেল এগিয়ে।। উদাস নয়নে তাকিয়ে বলে,,,,,,,,, সুখ!!!!

সে যে বড়োই দুর্লভ বস্তু,,,সুখ হলো সেই বস্তু , যেটা তোর কাছে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান জিনিস।।যাকে তুই কোনো মতেই হারাতে চাসনা।।যাকে তুই সদ্য শিশুর চেয়েও বেশি যত্ন ও লালন করিস।।তবুও তাকে আমরা নিজেদের কাছে আটকে রাখতে পারিনা,,,,,,,,বালির বাঁধের মতো হলো সুখ।।

,

আর শান্তি? সেটা কি।।

,

যেখানে প্রত্যাশার চেয়ে অপ্রত্যাশার হাতছানি বেশি তবুও জানি সে ভালো আছে,,, সেটাই শান্তি।।।

,

আর আত্মসন্মান ?? সেটা কি নন্দু।।

,

মৃত্যুর নিশ্চিত জেনেও পুনরায় জ্বলে ওঠাকে বলে আত্মসন্মান।। যে ব্যক্তির ভিতর এই জ্বালাময়ী শক্তি নেই ,,,,উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা নেই সেই ব্যক্তি বেঁচে থেকেও মৃত।।।।

,

প্রিয়া এবার হেসে বললো,,,,,,তাহলে তুই বল তুই কি আমার অপরাধী আদেও? তুই নিজেই নিজের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছিস।।।

নিলয়ের ভালোবাসা ছিলো আমার জন্য সেই সুখ যে সুখ ছিলো বালির বাঁধের মতো।।

আর শান্তি ছিলি তুই আমার,,,,,,,,সেই ঘটনার পর যখন কাকিমার সাথে কথা হলো,,তুই ভালো আছিস তোর নতুন সংসারে,,,বিশ্বাস কর আমি খুব শান্তি পেয়েছিলাম শুনে।।।

আর নিলয়কে বিয়ে না করে ওকে ওর যোগ্য শাস্তি দিয়ে নিজের আত্মসন্মানকে হারানোর হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।।

ওর মতো পশুকে বিয়ে না করে আমি একা আছি বাবাকে নিয়ে সম্মানের সাথে সেটাই আমার জীবনের বড়ো প্রাপ্তি।।

আচ্ছা ছাড় আমার কথা,,,এখন বলতো এরপর কি করবি তুই কিছু ভেবেছিস?

,

বাড়ি ছাড়ার সময় নিজের সার্টিফিকেটগুলো,,আর মায়ের রান্নার খাতাটা নিয়ে এসেছিলাম সঙ্গে করে।।

হালকা ম্লান হেসে বললো নন্দিনী,,,,,,,জানিস অভি ভেবেছিলো আমি নাকি এইগুলো নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে ওদের পৈতৃক গয়না চুরি করে নিয়ে আসবো।।আর তাইতো যতক্ষণ এইসব আমি নিচ্ছিলাম ততক্ষন ও আমাকে নজরে রেখেছিলো।।ভাবতে পারিস,,,,আমি নিজের সংসারেই চোর হয়ে গেলাম।।আরে যেখানে আমি নিজের জীবন,যৌবন ,সময় সব কিছুই ওদের নামে করে দিয়েছিলাম,,সেখানে ওদের কাছে আমার মূল্যের থেকে গয়নার মূল্য বেশি হলো রে।।।

বড্ডো বোকা আমি জানিস,,,,,,,,,,,অনেক বছর আগে কেউ একজন বলেছিলো,,,,," যে নিজেকে সম্মান দিতে পারে না ,,,অন্যের কাছে প্রত্যাশা করে সম্মানের তাদের সত্যিই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকা উচিতই নয়।।"

সেদিনের কথাটার মানেটা বুঝিনি আমি ,,,,অভিমান হয়েছিল খুব আর তাইতো তাকে ভুলে যাওয়ার জন্য বাবা মায়ের ইচ্ছের মর্যাদা দিলাম।।

কিন্তু আজকে সেই কথাটাই বারে বারে ফিরে আসছে আমার কাছে।।

,

দিনের পর দিন অভির অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিলো।।।

আগে নিত্যনতুন ভাবে যৌন অত্যাচার চালাতো।।কখনো পুরো বিবস্ত্র করে হাতে পায়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিত তার পর চালাতো বেল্টের বারি সারা শরীরে।।

আমি যত চিৎকার করতাম ওর ততই আনন্দ হত।।

,

তারপর গরম মোম কে আমার বুকের ওপর টপটপ করে ফেলতো।

কখনো সিগারেট নিয়ে পেটের ওপর নাহলে পিঠে গুঁজে দিত।।দেখবি দ্যাখ,,, ,,,,,,,,বলেই ওর আঁচল সরিয়ে প্রিয়াকে দেখালো।।

,

ওর শরীরে কালো দাগ গুলো দেখে ভয় শিউরে উঠলো প্রিয়া।। দৌড়ে গিয়ে নন্দিনীকে জাপটে ধরে বললো,,,,,,,,তুই কেনো এতো বছর ওই পিশাচের কাছে ছিলিস,,,,কেনো নিজের বাড়ি ফিরে এলিনা তুই।। কাকু তো তোকে খুব ভালো বাসতো,,, তাহলে তাদেরকে কেনো সব বলিসনি খুলে।।।

,

হা,,হা,,,হা,,,, করে হাসতে হাসতে কেঁদেই ফেললো নন্দিনী,,,,,,,হাউ হাউ করে কাঁদছে ও।।ওর কান্নায় লুটিয়ে পড়লো ওর আঁচল , ,,,,, বুকের ফাঁকে ফুটে আছে গলন্ত মোমে জ্বলে যাওয়া নন্দিনীর পোড়া চামড়া।।

নন্দিনীর অবস্থা আর ওর অবস্থার কথা শুনে প্রিয়ার চোখ থেকেও নেমে এলো শ্রাবনের ধারা।।।

একটা সময় এই মেয়ে ওকে কি সুন্দর যত্নে আগলে রাখতো,,,কারণ কলকাতায় প্রিয়া থাকতো একা,,,ওর ফ্যামিলি ছিলো ঝাড়খন্ডে।। তাই যত কিছু আবদার ওর নন্দিনীর কাছেই হত,,, সে ওর মায়ের হাতের রান্নাই হোক বা কাকিমার হাতের কাজ,,,বা নন্দিনীর গান।।।

,

চুপ কর নন্দু শান্ত হো,,, ভুলে যা ওইদিনগুলো,,, ।।

,

ভুলে যাব কি করে ভুলে যাব,,জানিস প্রিয়া বিয়ের পর থেকে অভিরাজ প্রত্যেকটা দিন আমাকে রেপ করে গেছে।।লোকে শুনলে হয়তো ভাববে স্বামীর সাথে সহবাস সেটা আবার রেপ হয় নাকি।।জানিস বিনা অনুমতিতে যদি গায়ে হাত দেয়া হয়,,শরীর ভোগ করা হয় তাহলে সেটাকে রেপ বলে।। দিনের পর দিন নিজের বিকৃত যৌনলালসা মেটাতে আমার ওপর অত্যাচার করেছে।।

এই দেখ আমার পা,,,এই যে কাল সিটে দাগটা দেখছিস!!প্রত্যেকদিন যেরকম জানোয়ারদের খুটিতে বেঁধে রাখে না,,আমাকেও খাটের সাথে দড়ি দিয়ে এভাবে বেঁধে রাখত।। এই যে দেখছিস বুকের একটা কালচে দাগ গলন্ত মোম ফেলতো,,তারপর দেখ এই যে কালো কালো স্পটগুলো ওগুলো সিগারেটের ছ্যাকা।।

তারপর নন্দিনী নিজের পায়ের কাপড় টা আরেকটু তুলে দেখালো,,,এই যে দেখছিস দাগটা,একবার ওর প্যান্ট ইস্ত্রি করতে গিয়ে ভুল করে একটু জ্বলে যায়,,তাই ও কি করেছিল জানিস গরম ইস্ত্রী টা আমার পায়ের চেপে ধরেছিল।।আর বলেছিল আমি প্যান্টটা পড়তে পারছি না কারণ ওটা তুই জ্বালিয়ে দিয়েছিস,,তাই আমিও তো পাটা জ্বালিয়ে দিয়ে দেখলাম তোর পাটা জ্বলে কিনা।।


এই দ্যাখ প্রিয়া আমার ডান হাতটা জানিস এটা কিসের পুরস্কার,,,,,,,হাহাহা আমার বরের প্রমোশন হয়েছিল বলে ও একটা ছোট পার্টি রেখেছিল বাড়িতে। নিজের কিছু বন্ধু আর কালিগদের নিয়ে।।আমার বরের এত ভালো এচিভমেন্টের জন্য আমি সেদিনকে নিজের হাতে সবার জন্য রান্না করেছিলাম।।আপনি তো জানিস আমি সব কিছু মায়ের থেকে শিখেছিলাম।।রান্না গুলো খেয়ে যখন সবাই আমার প্রশংসা করেছিল,,,তখন আমি সত্যিই ভাবি নি যে অভিরাজের মনে এই সবগুলো চলছিল।।

আমার প্রশংসা আমাকে ওর যোগ্য স্ত্রী বলা এটা ওর পছন্দ হয়নি।।আর তাইতো সব গেস্ট চলে যাবার পর আমার পুরস্কার হিসাবে , গ্যাসে আমার হাতটা পুড়িয়ে দিয়েছিল।।

,

নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের এইরকম কথাও তার সাথে হওয়া অত্যাচার গুলো দেখে প্রিয়া হঠাৎই কেমন পাথর হয়ে গেল।।

মেয়ের ঘরের পাশেই অরুণবাবু দাঁড়িয়ে নন্দিনীর সব কথাই শুনতে পেয়েছিল।।তিনি মনে মনে ভাবলেন কতটা নৃশংস মানুষ হলে,এইরকম জঘন্য কাজ করতে পারে।।তিনিও বাবাআর নন্দিনীকে তিনি ও মেয়ে হিসাবেই খুব স্নেহ করেন।।তাই তার এই যে এত কষ্ট,এত যন্ত্রনা দেখে তার পিতৃ হৃদয়ও কেঁদে উঠলো।।

প্রিয়া নন্দিনী,,,আমি একটু ভেতরে আসছি, মা, কথা আছে তোদের সাথে।।

,

প্রিয়ার বাবার কথা শুনে নন্দিনী নিজেকে ঠিক করে নিল।।চোখে জলটা মুছে বলল হ্যাঁ কাকাবাবু আসুন না ভেতরে।

,

অরুণ বাবু এসে প্রিয়ার খাটের উপর বসে বলল,,,,মারে তোর এই বাবাটা এখনো বেঁচে আছে।।তাই আমি তোকে আজকে বলছি তুই ডিভোর্সের জন্য ফাইল এপ্লাই কর কোর্টে।।আর ওই জানোয়ারের থেকে সারা জীবনের জন্য মুক্তি নিয়ে নেয়।।

,

অরুণ বাবুর কথা শুনে নন্দিনী চোখের জল গড়িয়ে পরল।।ও মনে মনে ভাবল যদি সেদিন নিজের বাবা ওকে একটু বুঝত,তাহলে হয়তো আজকে এই দিনটাকে দেখতে হতো না।।

,

নন্দু, বাবা কিন্তু ঠিক কথাই বলেছে এতক্ষণ বাদে কথা বলে উঠলো প্রিয়া।আমার চেনাজানা একটা উকিল আছে। কালকেই তুই ডিভোর্সের এপ্লাই কর।।

,

চোখে জলটা মুছে নন্দিনী বলল,,,,তুই কি করে ভাবলি প্রিয়া, অভিরাজের মতএকজন ওরকম মানুষ আমাকে বিনা ডিভোর্স দিয়ে ছেড়ে দেবে।।

,

মানে,,,ওর সাথে তোর আগেই ডিভোর্স হয়ে গেছে।।

,

ম্লান হেসেই নন্দিনী বলল,,,,আমিও না তোর মত ঠিক জানতাম না যে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে।।আসলে একমাস আগে অভিরাজ আমাকে দিয়ে একটা কাগজে সই করায় বলে বাড়ির নাকি কিসব কাগজপত্র।যেহেতু বাড়িটা আমার শাশুড়ি মা আমার নামে লিখে দিয়েছিল,,সেই জন্য আমাকে নাকি সই করতে হবে।। 

আর আমিও কেমন বোকা দ্যাখ না পরেই ওটাতে সই করে দিই।। জানিস একদিকে ভালোই হয়েছে সই করে দিয়েছি।।যেখানে আমার কোনো দাম নেই আমার বর আর সন্তানের কাছে,,,সেখানে এই মিথ্যে সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যাওয়া বোকামিই।।

এখন দেখ আমি সব দিক থেকেই মুক্ত।। জানিস ট্রেনে আসার সময় ভাবছিলাম যদি আমি জীবনটা থেকেও মুক্তি পেতাম তাহলে হয়তো ভালোই হতো।

,

ওর কথা শুনে প্রিয়া ওকে জাপ্টে ধরে বলে একদম বাজে কথা বলবি না নন্দু ,তুই কেন মরে যাবি,, আরে, যদি কেউ মরতেই হয়, তাহলে অভিরাজ মরবে না ও মরবে না ওর শাস্তি এখনো অনেক বাকি আছে।।।

,

অরুন বাবু ওদের কাছে উঠে এসে দুই মেয়ের মাথায় হাত রেখে বললো,,,,,,,,,,, আর কোনো কান্না নয়,,,,তোরা দুজনেই আবার নতুন ক

রে শুরু কর।।

বেলাশেষ হলেই তবেই যে বেলাশুরু হয়রে মা।।


________________চলবে____________________

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Sedin Choitro Mash-Episode-10-Valobashar-Golpo-2025

Sedin Choitro Mash-Episode-10-Valobashar-Golpo-2025