Episode - 17।। New Bengali Story 2024
তিন বছর পরেও, পুরোনো প্রেমের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে মীরা। কিন্তু, কি হবে যখন সিদ্ধার্থের গভীর মুগ্ধতা তাকে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করবে? একটি রাত, এক লাল শাড়ি, আর এক বন্ধুত্ব কি পারবে মীরার ভাঙা হৃদয়কে জোড়া লাগাতে?"
বন্দিনী :- পর্ব - ১৭ মন ছুঁয়ে যাওয়া বাংলা প্রেমের গল্প
ওপেন টেরেসে মিহির,সোহা,তোজো,মিহিকা অপেক্ষা করছে মীরাদের জন্য।
,
এদিকে হসপিটালে মিহিকা আকাশের কেবিনে এসে বললো,,,,,,,আকাশ বৌদিভাই আমাকে আজকে একটা দায়িত্ব দিয়েছে কিন্তু আমি ভেবে পাচ্ছিনা কি করে করবো সেটা।
,
আরে আগে শান্ত হয়ে এখানে একটু বসো তো তুমি,আর এই নাও জল খাও একটু। তোমাকে না বলেছি এতো তাড়াহুড়ো করে কোথাও বেরোবেনা।
,
- মিহিকার খুব ভালো লাগলো আকাশের ওর জন্য এতটা কেয়ার ভাব দেখে।ওতো এইসব কিছু ডিসার্ভই করতো না। আজকে মীরার এইরকম কঠিন হওয়ার পিছনে ওর ও যে একটা ভূমিকা আছে সেটা ও অস্বীকার করবে কি করে।
- কি হলো কি ভাবছো,,,,,আকাশ মিহিকার গালে স্পর্শ করে বললো।
- নাহ,,,কিছু না।
আকাশ বুঝলো মিহিকা আবার আত্মগ্লানিতে ভুগছে।আকাশ ওর সামনে এসে ওকে আলগোছে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,,,,প্লিজ মিকা আবার পুরোনো কথা ভেবে মন খারাপ করোনা।আমি জানি তুমি যেগুলো করেছিলে সেটা তোমাকে ভুল বুঝিয়ে করানো হয়েছিল।তাতে তোমার দোষ ছিলোনা। মীরাও কিন্তু এটাই মনে করে।আর মনে করে বলেই না ও তোমাকে আর আমাকে এক করে দিয়েছে।প্লিজ সব কিছু জানি ভোলা সম্ভব নয় তবে সেগুলোকে মনে করারও আর প্রয়োজন নেই।
যাক বাদ দাও এবার বলতো এখানে আসার কি এতো জরুরি পড়লো তোমার।
,
আসলে আজকে মীরুর জন্মদিনের জন্য আমি রক্ত শাড়ি আর বৌদিভাই একটা গয়না কিনেছি।কিন্তু সেটা ওকে কি করে পরাবো সেটাই বুঝতে পারছিনা।তুমি তো জানো আজকে ওর জন্মদিনের দিন তার সাথে ছোটমা আর ওর বেবির।
,
হম্ম জানি।কিন্তু মিকা এমন করলে তো মেয়েটা ঐ দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে বের করতেই পারবেনা।ওর জীবনটা যে ওখানেই আটকে পরে থাকবে।আর সুফাহু আন্টি বা ওর বেবির জন্য নয় তার সাথেই ঐ জানোয়ার টার কথাও ও ভুলতে পারবেনা।
,
আকাশ ,,,,, মীরা সব ভুলে গেলেও কোনোদিনও রাজবীরকে ভুলতে পারবেনা।
,
সেটাই তো সবথেকে বেশি খারাপ লাগে মিকা।ঐ একটা মানুষের জন্য আজকে মীরার জীবনে একটা সঠিক মানুষ আসতে চেয়েও আসতে পারছেনা।কিন্তু আমি সেটা হতে দেবোনা।আমার বন্ধুকে আমি আর কোনো কষ্ট পেতে দেবোনা।
,
সঠিক মানুষ!!! তুমি কার কথা বলছো আকাশ।
,
আমি সিদ্ধার্থের কথা বলছি মিকা। ছেলেটা খুব ভালো।আর ওর বোন অলিভিয়াকে তো তুমি আগেই চেনো।মিকা আমি সিদ্ধার্থের চোখে মীরার জন্য মুগ্ধতা লক্ষ্য করেছি।আর আমি নিজে একটা ছেলে হয়ে অন্য আর একটা ছেলের চোখের এই ভাষা খুব ভালোই বুঝতে পারি।
আমি ঠিক করেছি আজকেই বৌদিভাই আর মিহিরদাকে এই বিষয়টা বলবো।
,
কিন্তু আকাশ মীরু কি এই সম্পর্কে রাজি হবে? আমার মনে হয় আর একটু সময় দাও দুজন দুজনকে বোঝার।তারপর নাহয় দাদাভাইকে বলবে।মীরা কিন্তু এখনও সবকিছু ভুলতে পারেনি।আমি আজকে সেটার আর একবার প্রমান পেয়েছি।
,
কি প্রমান পেয়েছো তুমি।তবে কি মিকা মীরার সিঁথিতে সিঁদুর দেখতে পেয়েছে।
,
মীরা আজকে ছোটমার ছবির দিকে তাকিয়ে নিজেকে দুশ্চিল আর ,,,আর,,,,,নিজেকে পানিশমেন্ট দিচ্ছিলো।
,
কি পানিশমেন্ট।
,
মীরু,,,,নিজের,,হা,,তের ওপর ছুড়ি দিয়ে কাট দিলো,,,,,আর তারপর সেই রক্তটা একটা সোনোগ্রাফির ফটোর ওপর দিয়ে বললো,,,,,,,এই ভাবেই প্রত্যেক বছর নিজের জন্মদিনে আমি নিজের রক্ত দিয়ে তোর আর মায়ের ঋণ শোধ করবো।নিজের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবো।
,
হোয়াটটটট,,,,,,তুমি যেটা বলছো সেটা কিসের মানে বোঝো।ও নিজেকে আঘাত দিয়ে নিজের প্রায়শ্চিত্ত করছে।এতে ওর তো এখানে কোন দোষই নেই। ওহ গড,,,তারমানে গত তিনবছর ধরে মীরা এই পাগলামি করে আসছে।
,
হম্ম আর এখানের ড্রেস কোড এর জন্য তোমরা ওর হাতের আঘাতটা দেখতে পাওনি।
,
হম্ম। দাঁড়াও আমি ওকে কল করে ডাকছি তারপর ওকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেল করে আজকে ড্রেসটা ওকে পরাবো।
,
আকাশ মীরাকে কল করে ওর কেবিনে ডাকলো।
,
মীরা কিছুক্ষন পরেই এসে দেখলো ওখানে মিহিকাও আছে।
,
মিহু দি তুই যে এখানে আসবি সেটাতো বলিসনি।ভালোই হয়েছে আমরা একসাথেই লাঞ্চে যাবো।
,
হ্যাঁ সেতো যাবোই কিন্তু টার আগে যে আমার একটা আবদার তোমাকে রাখতে হবে বন্ধু।আকাশ বললো।
,
কি আবদার শুনি।দ্যাখ মিহু দি কোথায় আকাশ দা আজকে আমার জন্মদিনে বলবে আমি জা আবদার করবো সেটাই এনে দেবে,,তা না উনি নিজে আবদার করছেন।
,
- আমি তোদের মধ্যে নেই বাবা। তোরা ঝগড়া করলেও ভাব হয়ে যাবে কিছুক্ষন পরে আর আমি আঁটি হয়ে গড়াগড়ি খাই আর কি।
- আরেএএএ,,,,,,,, মীরা একটু চেঁচিয়ে বললো।
- মীরা এই বক্সটা নিয়ে রেডি হতে যাও।আজকে প্লিজ আমার এই রিকোয়েস্টটা রাখো।
- কি আছে বক্সে।
- নিজেই খুলে দ্যাখো।
মীরা একবার মিহিকার দিকে ও একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে বক্সটা ওপেন করলো। সেখান থেকে একটা চিঠি পেয়ে সেটা খুলে দেখলো তাতে লেখা আছে,,,,,,, ** আমার সোনা বোন মীরুকে জানাই শুভ জন্মদিন।আমি জানি এই চিঠিটা পেলে তুই খুব অবাক হবি। মীরু আজকে তোর দাদাভাই আর তোর বৌদিভাই মিলে তোকে একটা ছোট্ট উপহার দিতে ইচ্ছে হলো।জানি তুই আজকের দিনটা কিছুতেই মনে রাখতে চাসনা। কিন্তু সোহা আর মিহুর পর আমার একান্ত আপন বলতে একমাত্র তুই মীরু। এই দাদাভাইটার একটা কথা অন্তত আজকে রাখলে আমি খুব খুশি হবো।ইতি তোর ,,,,দাদাভাই।
,
মীরা চিঠিটা ভাঁজ করে বক্সের মধ্যে রেখে চোখের জলটা মুছে মিহিকাকে বললো,,,,,,তোরাও পারিস বটে।উফফ এতো ইমোশনাল অত্যাচার করলে আমি বেচারা আর কোথায় যাবো।ঠিক আছে আমি রেডি হয়ে আসি ,,আমরা একসাথেই বেরোবো আজকে।
,
মীরা কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলে মিহু ও আকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস বের করে বসে পরলো।
,
কিছু সময়ের পর মিহিকা,আকাশ, অলিভিয়া ও সিদ্ধার্থ বাইরে গাড়ির কাছে মীরার জন্য ওয়েট করছিলো।
,
উফফফ এই মিহুদি মীরাকে একবার ফোন করোনা এতো কেন লেট করছে কে জানে।অধৈর্য্য হয়ে অলিভিয়া একবার এদিক আর একবার ওদিক করছে।বাকি রা যে যার ফোন নিয়েই ব্যস্ত হয়ে আছে।কিন্তু অলিভিয়ার চেঁচানোতে সবাই সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে।
,
ওহ,,,মাই,,,গড,,,,,,,,, মীরা ,,,,,,,, এটা তুইইইই সিরিয়াসলি,,,,আমি তো ভাবতেই পাচ্ছিনা।ওয়াওওওও কি সুন্দর লাগছে তোকে দেখতে।অলিভিয়া উচ্চশিত হয়ে লাফাতে শুরু করে মীরাকে দেখে।
,
- এদিকে দুই পুরুষের চোখেই মীরার জন্য মুগ্ধ দৃষ্টি দেখতে পাচ্ছে মিহিকা।মিহিকা আকাশের দিক থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে আনলো। ও তো জানতোই আকাশ মীরাকে আগে পছন্দ করতো।হয়তো এখনো করে।তবে এখনের এই সম্পর্ক সম্পূর্ণ আলাদা।তবুও মনের কোনে কোথাও একটা খারাপ লাগা মনে হয় রয়ে গেলো মিহিকার।কিন্তু মুখে সেটা প্রকাশ করলোনা।
- কারণ ও খুব ভালো করেই জানে মীরার মনে আকাশ বা সিদ্ধার্থের জন্য কোনো অনুভূতি নেই।শুধু এরা নয় মিহিকার তো মনে হয় রাজবীর ছাড়া মীরার মনে কোনো পুরুষেরই জায়গা নেই। ও জানেনা আকাশ যে প্রস্তাবটা দাদাভাইকে দেবে সেটা শুনে মীরার মনে ঠিক কি প্রতিক্রিয়া হবে কে জানে।
- মিহিকা মীরার দিকে হাসি মুখ নিয়ে এগিয়ে গিয়ে বললো,,,,,,বাহ আমার বোনটাকে কি মিষ্টি লাগছে আজকে।তারপর নিজের চোখ থেকে কাজল নিয়ে মীরার কানের পিছনে লাগিয়ে দিয়ে বললো,,,,,আর কারোর নজর লাগবেনা দেখিস।
WhatsApp Channel Join NowTelegram Channel Join Now
মিহিকার কথা শুনে অলিভিয়া একবার সিদ্ধার্থের দিকে তাকিয়ে ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,,,,,,,না মিহু দি নজর আগেই লেওজ গেছে,,তুমি যতই নজর কাটাও আর কিছুই হবেনা।বলেই ফিক করে হেসে উঠলো।
,
অলির কথা শুনে আকাশও হেসে উঠলো।
,
কিন্তু সিদ্ধার্থের মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেলোনা।ও নিস্পলক ভাবে মীরার দিকেই তাকিয়ে আছে।
,
মীরাকে সোহা একটা লাল গোল্ডেনে ঢাকাই শাড়ি দিয়েছে সাথে একটা গোল্ডেন ঘটিহাতা ব্লাউজ।কানে ছোট্ট ঝুমকো কানের,গলায় একটা সরু চেনের সাথে একটা হার্টসেপ লকেট,হাতে লাল চুরি,চোখে ঘন করে কাজল,কপালে ছোট্ট লাল টিপ ও হালকা ঠোঁটে লাল লিপস্টিক।
মীরার কাঁচা হলুদ রঙের ত্বকে লাল রংটা যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
,
সিদ্ধার্থ মীরাকে দেখে নিজের হার্টবিটের শব্দ নিজেই শুনতে পাচ্ছে। মনেমনে ,আমি হার্টের ডক্টর হয়েও নিজের হার্টকে এই অনুভূতি থেকে কন্ট্রোল করতে পারছিনা।প্লিজ মীরা আমার এই অসুখটাকে তোমাকেই চিকিৎসা করতে হবে।আমার ডক্টরই বল বা অসুখ সবটাই যে তোমাকে ঘিরে।
,
মীরা সিদ্ধার্থের এই মুগ্ধ দৃষ্টি দেখে মনে মনে খুবই অপ্রস্তুত হয়ে ওঠে।কারণ এই দৃষ্টির মানেটা ও খুব ভালোভাবেই বোঝে।তাইতো ও সাজতে চায়না।তিনবছর আগে একজনের তো ঠিক এমনই ভাবে ভালোবেসে তার দিকে তাকাতো।কিন্তু এই ভালোলাগার বা ভালোবাসার মোহ কাটতেও তো তার বেশি সময় লাগেনি।তাই মীরা সিদ্ধার্থের ওর প্রতি যে অনুভূতি,যে দৃষ্টি সব বুঝেও কোনোরকমের কোনো আশা দেয়না।
কারণ যে আঘাত নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষের থেকে পেয়েছে তার জন্য ও আর কাউকেই নিজের জীবনে আসতে দেবেনা।
মীরা ওদের সামনে এসে বললো,,,,,,আকাশদা,, মিহুদি চলো যেতে হবে আমাদের।দাদাভাই আর বৌদিভাই তোজোকে নিয়ে ওখানে পৌঁছে গেছে। আর এখন না বেরোলে আসতেও দেরি হয়ে যাবে।
,
হম্ম আমাকে এড্রেস দিয়ে দিয়েছে।চল সবাই গাড়িতে বসে পর।
,
আকাশ আর সিদ্ধার্থ গাড়ির সামনে বসেছে।সিদ্ধার্থের গাড়িতেই যাওয়া হচ্ছে।সিদ্ধার্থ গাড়ি ড্রাইভ করছে আর আকাশ ওর পাশে বসে আছে।পিছনে তিনটে মেয়ে বসেছে।মীরা জানলার দিকে তাকিয়ে আছে।অলি মিহিকার সাথে বকবক করে যাচ্ছে।
- এরই মধ্যে সিদ্ধার্থ গাড়িতে গান চালিয়ে দিলো।
- ,,সানসন কো সানসন মে ধলনে দো জারা
- ধেমি সি ধড়কান কো বদনে দো জারা
- লামহঁ কি গুজারিশ হ্যায় ইয়ে, পাস আ যায়েইন
- হাম, হাম তুম, তুম, হাম তুম ।।।।।।
,
গানটা শুনেই চকিতে সামনের দিকে তাকালো মীরা।সিদ্ধার্থও লুকিং গ্লাসে মীরার দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনেই যখন একে ওপরে সাথে দৃষ্টি বিনিময় হয় তখন মীরা সিদ্ধার্থের থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে উইন্ডর দিকে তাকায়।
,
সিদ্ধার্থের মনে হয় গানটা শুনে মীরার চোখে একটা লুকানো কষ্ট ভেসে ওঠে। সিদ্ধার্থ জানেনা মীরার পাস্টে কি এমন হয়েছে যার জন্য মীরা নিজেকে এতটা গুটিয়ে নিয়েছে।অথচ সিদ্ধার্থ জানে মীরা কতটা চঞ্চল। হসপিটালে যেখানে বাচ্ছাদের ওয়ার্ড আছে সেখানে সব বাচ্ছারাই মীরাকে খুব ভালোবাসে।মীরা দিনের দুটো ঘন্টা ঐ বাচ্ছাদের সাথে কাটায়।
মীরা নিজেও জানেনা সিদ্ধার্থ রোজ ওই সময় ওকে লুকিয়ে দেখে।
মীরা ওদের জন্য রোজ কিছুনা কিছু নিয়ে যায় ওদের কাছে।তারপর ওদের সাথে গল্প করে,খেলা করে এমনকি নাচ গানও হয়। সিদ্ধার্থ লুকিয়ে না দেখলে কখনোই জানতে পারতোনা যে মীরা এতো সুন্দর গান গাইতে পারে।
- শুধু মাত্র বাচ্ছাদেরই নয় মীরা হসপিটালের বয়স্কদের সাথেও সময় কাটায় ওদের ক্যোজ খবর নেয়।হসপিটালের প্রত্যেকটা ডক্টর,নার্স এমনকি যারা ক্লিনিং স্টাফ তারাও মীরাকে খুব ভালোবাসে।
- মেয়েটার মুখের এই অদ্ভুদ সরলতার জন্যই তো সিদ্ধার্থ মীরাকে ভালোবেসে ফেলেছে। কোনো অহংকার নেই মেয়েটার মধ্যে। আছে শুধু সবাইকে মানিয়ে নিয়ে চলার একটা ক্ষমতা।
- গানটা শুনেই মীরার তিনবছর আগেই সেই বর্ষামুখোর রাতের কথা মনে পরে যায়। যেখানে দুজন ভালোবাসার মানুষ একে অপরকে নিজের ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিল। তারফলে সেই রাতের পর মীরার শরীরে একটা ছোট্ট প্রাণের অস্তিত্ব অনুভূতি পেয়েছিল।
- চেপে চোখটা বন্ধ করে নেয় মীরা।দাঁতে দাঁত চেপে নিজের চোখের জলটা আটকানোর চেষ্টা করতে থাকে।
- ,
- লুকিং গ্লাস থেকে সিদ্ধার্থ মীরার মুখের প্রত্যেকটা রিএক্শন দেখতে পাচ্ছে।তাই ও হাত বাড়িয়ে গানটা বন্ধ করে দেয়।
,
গানটা বন্ধ হতেই অলিভিয়া ওর দাদাকে বলে,,,,কি দাভাই গানটা অফ করে দিলি কেনো।জানিসতো এই গানটা আমার ফেভারিট।
,
সিদ্ধার্থ বোনের অভিযোগ শুনে একবার মীরার দিকে তাকিয়ে বললো,,,,,,আমার মাথার যন্ত্রনা হচ্ছে তাই গানটা বন্ধ করে দিলাম আর শোন বেশি না বকে নাম এসে গেছি আমরা।
,
গাড়ি থামতেই একে একে সবাই নেমে গেলো।মিহিকা আর আকাশ আগে আগে হাঁটছিলো।অলিও ফোনে নিজের সেলফি তুলতে তুলতে এগিয়ে গেল।
পিছনে মীরা আর সিদ্ধার্থ হেঁটে আসছিলো।
,
থ্যাংক্স,,,,,,,,মীরা আস্তে করে বললো।
,
যদি তোমার অসুবিধাটা বুঝতেই না পারলাম তাহলে নিজেকে বন্ধু বলে দাবি কেন করি। আমি জানিনা তোমার অতীতে কি হয়েছিল ,,,,আর সত্যি বলতে জানতেও চাইনা।তবে ভবিষ্যতে আমাকে তুমি সবসময় পাবে পাশে।একটা বন্ধু হিসেবে আজকে তোমার জন্মদিনে এই কথাটাই দিলাম আমি তোমাকে।
,
মীরা সিদ্ধার্থের দিকে তাকালে সিদ্ধার্থ হেসে ওর হাতটা ধরে বললো,,,,,,,, এতো ভেবোনা মীরা,,,যখন যেটা হবার সেটাই হবে তুমি বা আমি কেউ সেটা পাল্টাতে পারবোনা।তার থেকে বরং বর্তমানে যেটা হচ্ছে সেটাই নাহয় একটু উপভোগ করি আমরা।আজকে তোমার জন্মদিন তাই আমি চাই আমার এই মিষ্টি বন্ধুটার মুখে সব সময় হাসি ফুটে থাকুক।
,
সিদ্ধার্থের কথা শুনে মীরার ঠোঁটে হালকা হাসি ফুটে উঠলো।
,
সেটা দেখে সিদ্ধার্থের মনে নেমে এলো এক অপার ভালোবাসার রেস।ও মীরার হাতটা ধরেই রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করলো।
Thanks for your feedback