Sedin Choitro Mash - Session 1
Episode - 6
A College Love Story
Sedin Choitro Mash
Episode 6
ইভান কলিকে কিছু বলতে যাবেই তার আগেই,,,,,
ইভান,,,,,,না!
ওর নাম ধরে ডাকাতে দুজনেই সেই দিকে তাকায়।।
**কিরে তুই এখানে,,,,রোহিত ইভানের ছোটবেলার ফ্রেন্ড,তারা একসাথেই স্কুল ও কলেজ শেষ করে যে যার দিনটা ছিলো ছোট্ট ইভানের জন্মদিন,25th জানুয়ারী।।গোটা চ্যাটার্জী ম্যানসনকে আলো,ফুল আর বেলুনে মুড়িয়ে দিয়েছে।।।
মাম্মাআআআআ আমি খাবোনা প্লিজ আমার পেট ভোরে গেছে,,,,,ওওওওও জেম্মাআআআ বাঁচাও আমায় আমি আর খেতে পারবোনা,,,বলেই জেম্মার আঁচলের তলায় লুকিয়ে পড়লো ছোট্ট ইভান।।
উফফ ছোট ছাড় না ছেলেটা যখন বলছে তখন আর জোর করে খাওয়াতে হবেনা,, আশা দেবী বললেন।
- দি ভাই তুমি চেনো না তোমার আদরের ইভান কে ও কেমন নাটক করতে পারে সেটা আমি খুব ভালো করে জানি,, তুমি যতই বলো ওর পেট ভরে গেছে আমি জানি ওর এখনো পেট ভরেনি।। এই শয়তান ছেলে, বেরিয়ে আয়এই শয়তান ছেলে তলা থেকে নাহলে এক্ষুনি কান মুলা খাবি,,,, আয় বলছি শিগগির বেরিয়ে আয়।।
- ও জেঠুনন ও পাপা দেখোনা আমি সত্যিই আর খেতে পাচ্ছিনা তাও মাম্মা আমাকে জোর করে খাওয়াচ্ছে।।
- এই শিখা তুমি কেনো আমার বাবিনকে জোর করছো বলতো খুব বকে দেব,,,,ইভানের বাবা অশোক চ্যাটার্জী বললেন।।
- ঠিকই তো বলছে ছোট বৌমা জোর করে কেন খাওয়াচ্ছো বাপু আমার গোপাল সোনাকে,,,বললেন ইভানের ঠাম্মি ,,,কণিকা দেবী।।
ও এখন সব আমার দোষ না আপনারা জানেন না আপনাদের নাতি কেমন, কি মিথ্যে কথা হয় না শিখেছে হ্যাঁ এইটুকু বয়সে। জানেন আমি মাত্র ৫ গেলকে ভাত খাইয়েছিজানেন আমি মাত্র ৫ গাল ভাত খাইয়েছি। তারপরেই বলছে মাম্মা আমার পেট ব্যথা করছে, মামা আমার পেট ভর্তি হয়েে গেছে,,,,তাহলেই ভাবুন আপনারা আমি কোনটা তে বিশ্বাস করবো।।।
আহ ছোট বৌমা ছাড়ো না বাবু। আজকে গোপালের জন্মদিন , তাই আজকে ও যা বলবে যা খুশি করবে তাতে সাত খুন মাফ।।
বাড়ান বাড়ান আরো মাথায় চাপানো ওকে,, পরে বুঝতে পারবেন এত ছাড় দিলে ও আদরে বাঁদর হয়ে যাবে।।।
কিছু হবেনা! তাইনা আমার গোপাল বলেই একটা চুমু খেলো মাথায় ওর ঠাম্মি।।
অশোক সবাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়ে গেছে তো আর মোটামুটি আয়োজনও সব কমপ্লিট?বললেন অলক বাবু মানে ইভানের জেঠুর অলক চ্যাটার্জী।।
হ্যাঁ দাদা সব কমপ্লিট তুমি কিচ্ছু চিন্তা করো না।। কেকটা সন্ধ্যেবেলার মধ্যে এসে যাবে ওটা আমি আর শিখা গিয়ে নিয়ে আসবো কারন আমার স্পেশাল ছেলের জন্য স্পেশাল কেক অর্ডার দেওয়া আছে।।
ওকে ওকে যেটা ভালো হয় সেটাই আমাদের ইভান বাবুর জন্য তোরা করবি,,, আমি চাই যে একটু রেস্ট নি।।
দাদা তুমি যাও আমিও যাই একটু এদিকে দেখি সব আয়োজন ঠিক ঠাক হচ্ছে কি না।।
সন্ধ্যাবেলায়,,,,,,,,,,
শিখা ও শিখা তোমার হলো ইভান কে রেডি কর তাড়াতাড়ি আর নিজেও রেডিডি হও তাড়াতাড়ি।। সব গেস্ট আস্তে আস্তে আসা শুরু করে দিয়েছে।।
আমি রেডি আর তোমার ইভানও রেডি।।।
পাপা আমাকে কেমন লাগছে?
ওলে আমার সোনা বাবু তোমাকে ছোট রাজপুত্র লাগছে।।।
আর মাকে?
মাকে লাগছে রানী এর মত।।।
- আর বাবাকে লাগছে রাজার মত বলেই শিখা দেবী ও অশোক বাবু দুজনরেই খিল খিল করেে হেসে উঠলো,, ওদের হাসতে দেখে ইভানও হেসে ফেলল।।
- জোরে কারো সাথে ধাক্কা লাগতে ইভানের ধ্যান ভাঙে অতীত থেকে ফিরে আসে।।
- এক্সকিউজ মি আমাকে বলতে পারবেন মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে কেউ এখানে ভর্তি হয়েছেন
- কান্না ভয় উদ্বেগ মেশানো স্বরে বললো কলি।।
- দাঁড়ান আমি একটু দেখে আপনাকে জানাচ্ছি,,,রিসেপশনে বসা মেয়েটি কলির অবস্থা দেখে তাড়াতাড়ি বললো।।
উমমম হ্যা উনি আজকেই ভর্তি হয়েছেন।।
**
ক,,,কত নম,,,বর রুমে উউউনি ভর্তি আছেন,,,কেঁদে কেঁদে প্রায় হেঁচকি তুলছে কলি।।
**
- এক্সকিউজমি ,,,,,,মিতাদেবীর বাড়ির লোক কে আছেন,,,,একটি নার্স এসে বলতেই কলি ও ইভান দুজনেই নার্সের দিকে এগোলো।।।
- দুজনেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কলি ভাবছে ,,,,কে ইনি যে আমার মায়ের নাম শুনে এগিয়ে এলো।।।।আর ইভান ভাবছে কি নিষ্পাপ মুখ মেয়েটির,,কি গভীর এই দৃষ্টি কিন্তু এত কষ্ট কেন? ওর চোখের জল আমাকে এত অস্থির কেন করছে।।।।
- নার্স দুজনকেই দেখে বললেন ,,,,পেসেন্ট এখন বিপদমুক্ত কিন্তু 24 ঘন্টা অবজার্ভেশনে রাখতে হবে আইসিউ তে আশা করা যায় জ্ঞান ফিরে আসবে তার মধ্যেই,,আপনারা কাইন্ডলি এই ওষুধগুলো এনে দিন,,,বলেই প্রেসক্রিপশনটা ওদের দিকে বাড়ালো।।
দুজনেই একসাথে প্রেসক্রিপশন নিতে গেলে দুজনের হাতের ছোঁয়া লাগে,,,,,আর কেঁপে ওঠে দুজনেই দুজনের স্পর্শে।।।অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে দুজনে দুজনের ওপর।।
*দিভাইইইইইই,,,,,বোলে সায়ন ঝাঁপিয়ে পরে কলির বুকে আর কাঁদতে থাকে।।।
সায়নের ডাকে দুজনেই ফিরে আসে বাস্তবে।।
*দিভাই মা তো রোজ আমাকে আনতে যায় বল তাহলে আজকে কেন এরকম করল,,,আমরা রাস্তা পার হচ্ছিলাম হঠাৎ দেখি মা মাথাটা ধরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল আর একটা গাড়িও মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো।।ওই গাড়িটা থেকে এই দাদা ভাই টাই বেরিয়ে এসে আমাদের সাহায্য করেছে,,মাকে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছি,,জানিস মায়ের অপারেশনও হয়েছে,,আর দাদাভাই টাই সমস্ত টাকা পয়সা দিয়েছে,,,,গড়গড় করে দিদির সামনে সব ভুলে গেল সায়ন।।
*সায়নের সব কথা শুনে একদৃষ্টিতে কলি তাকিয়ে রয়েছে ইভানের দিকে।।ওর মাথায় কাজ করছে না মায়ের অপারেশন হয়েছে?কি অপারেশন করেছে সেটাও জানে না।।
**কলির তাকানোতে ইভানের খুব অস্বস্তি হচ্ছিল,,ও বলল প্লিজ আগে আপনি একটু নিজেকে সামলান আমি আপনাকে সব বলছি।।।
নতুন গল্পের প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
পর্ব ১
প্রফেশন বেছে নিয়েছে।।তার সাথে রোহিতের আঙ্কেল মিস্টার রাজীব শর্মা এই জীবনদীপ হসপিটালের ওনার,,আর তিনি রোহিত কে এখন সব দায়িত্ব দিয়ে ঝাড়াহাত পা হয়ে গেছেন,,,তবে মাঝে মাঝে একবার এসে ঘুরে যান দেখে যান কোথাও কিছু অসুবিধা হচ্ছে কি না।।।
**কথাটা রোহিত ইভানকে বললেও চোখটা ছিলো কলির ওপর এবং তাতে ছিলো অপার কৌতূহল।।।
- কৌতূহলের কারণ টাও যথেষ্ট আছে,,,,কারণ আমাদের অ্যাংরি ইয়ং ম্যান মিস্টার ইভান মেয়েদের ব্যাপারে বড্ডো কাঁচা।।।তার মতে মেয়েদের পিছনে বেকার টাইম নষ্ট করে কোনো লাভ নেই।।মেয়েরা শুধু চেনে টাকা।।আর তাছাড়া ওরা কিছুই জানে না ,,সম্পর্কের মূল্য ও পরিবারকে একসাথে রাখায় যে ভালোবাসা দরকার সেটা এখনকার মেয়েদের মধ্য নেই ।।তাই বর্তমানে 27 বছরের হয়ে গেলেও ইভান চ্যাটার্জী এখনো সিঙ্গেল আর ভার্জিন। তার ওপর ওর মাত্রাছাড়া রাগ সেটাও আরেকটি কারণ যে টার জন্য মেয়েরা কেন সবাই একটু ভয়ও পায়।
- **রোহিতের চোখ অনুসরণ করে দেখে সে কলির দিকেই তাকিয়ে আছে।।এটা দেখা মাত্রই ইভানের হাতের মুঠো আর চোয়াল শক্ত হয়ে যায়।।তারমধ্যে কলিকে একটু অস্বস্থিতে পড়তে দেখে আরোই রাগটা বেড়ে যায়,,,,ও একটু গলা তা গম্ভীর করেই বলে,, আসলে আমার একজন আত্বিয় এখানে এডমিট আছে সো আমি তাই এখানে দেখা করতে এসেছি।।তোর কি কোনো প্রবলেম আছে?
- **ইভানের গম্ভীর আওয়াজ শুনে রোহিতে ধ্যান ভাঙলো।।ও কিছু বলার আগেই রাজিব বাবু বললেন ইভানকে,,,,,অলকদার কিছু হয়েছে নাকি বৌঠানের!
**নানা আঙ্কেল ওদের কিছু হয়নি ওরা ভালোই আছে,,আসলে আমি এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার সময় রাস্তায় একজনকে অসুস্থ অবস্থায় দেখি,তিনি অজ্ঞান হয়ে গেছিলেন আর সাথে ছিল তার একটা ছোট ছেলে।।ঐরকম পরিস্থিতিতে ওইটুকুনি বাচ্চাতো আর কিছু করতে পারবে নাতাই আমি ওদেরকে সঙ্গে নিয়ে আপনার এই হসপিটালে ভর্তি করাই।।
**ইভানের কথা শুনে কলির চোখ দিয়ে আবার জল গড়িয়ে পড়ল।।কলি মনে মনে ভাবতে লাগলো যদি না ইনি ঠিক সময় চলে আসতেন আর সঠিক সময় মায়ের ট্রিটমেন্ট না হত তবে আজ বোধহয় আমি মাকেও চিরকালের মতো হারাতা।।
** কলির প্রত্যেকটা চোখের জলের ফোটা ইভানের
মনকে ক্ষতবিক্ষত করছিল।।ইচ্ছে থাকলেও কিছু করতে পারছিল ওর,,,তাই রোহিত আর আংকেল কে বলল,, আঙ্কেল আমি কিছুক্ষণ বাদে আপনাদের সাথে কথা বলছি।এদিকটা মিটে যাক আমি ডক্টরের সাথে কথা বলে তারপর আপনাকে জানাচ্ছি।।ওরা দুজনেই তাতে সম্মতি জানিয়ে নিজেদের কেবিনে চলে গেল।।
**ওরা চলে যাবার পর ইভান দেখে কলি স্থির ভাবে নিজের মায়ের কেবিনের দিকে তাকিয়ে আছে,,,চোখের জল পড়ে যাচ্ছে সেই তালে।।ইরান গিয়ে ওর পিছনে দাঁড়ায়,,এক্সকিউজ মি,,,,,কলির শরণাপেকলির সাড়া না পেয়ে আবার ইভান ওকে ডাকে,,,হ্যালো মিস ব্যানার্জি!
হ,,,,,মম বলুন।।
**বলছি আপনার মায়ের তো অপারেশন হয়ে গেছে।আর আন্টিকে কিছুদিন হসপিটালে থাকতে হবে ,তাহলে আপনি আর আপনার ভাইকে কি আমি বাড়ি পৌঁছে দেব।।
**বাড়ি যাবার নাম শুনে কলি অস্থির হয়ে গেল। নানা দেখুনন আমি মাকে ছেড়ে এই মুহূর্তে কি করে যাব।।আর তাছাড়া মায়ের সাথে একজনকে 24 ঘন্টা থাকতে হবে।।যদি কিছু মায়ের প্রয়োজন হয় তখন মাকে তো সাহায্য করতে হবে।।তাই আমি বাড়ি যাব না আমি পিকলুকে বরণ বাড়িতে রেখে আসবো।।
**কলির অস্থিরতা দেখে ইভান বললো,,,,যতদূর আপনার ভাইয়ের থেকে শুনলাম আপনার মা ছাড়া আপনাদের আর কেউ নেই!এম আই রাইট?
**কলি ঘাড় নাড়লো শুধু.......
**তাহলে আপনার মনে হয় না আপনি যদি হসপিটালে থাকেনতবে আপনার ছোট ভাইটাকে কে দেখবে???উমমম একটা কাজ করা যেতে পারে,,আপনি বরং আপনার ভাইয়ের সাথে আমার বাড়িতে চলুন।।
- **ইভানের কথাটা শুনে কলির চোখ গুলো বড় বড় হয়ে যায়।।ও তাড়াতাড়ি ইরফানকে বলে না না মিসটার চ্যাটার্জিও তাড়াতাড়ি ইরফানকে বলে না না মিসটার চ্যাটার্জি, আপনি আমার মায়ের জন্য আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন,,আমি ভাবতেও পারছি না যেখানে নিজের লোকেরা মুখ ফিরিয়ে নেয় সেখানে আপনি একজন বাইরের লোক হয়ে এতটা করলেন আমি সেই ঋণ কি করে শোধ করবো?আর তাছাড়া অপারেশনের জন্য দশ লাখ টাকা আপনি দিয়েছেনসেটাও তো শোধ করতে হবে।।তবে আপনি বিশ্বাস রাখতে পারেন আমি আপনাকে আস্তে আস্তে সব শোধ করে দেবো।।
- **কলির মুখে বাইরের লোক আর ঋণ শোধ করার কথা শুনেভানের খুব রাগ ধরল।।।সে মনে মনে বলল,,আচ্ছা মেয়ে তো দেখতে পাচ্ছেনিজেই ছোট তার ওপর আর একটা ছোট ভাই আছে তাকে নিয়ে কোথায় যাবে ,কি করবে তার ঠিক নেই উনি এসেছেন আমার ঋণ শোধ করতে এই জন্যই এই রকম মেয়েদের থেকে আমি দূরে থাকি।।
কলি দেখে ইভানের চোখ আর নাক লাল হয় গেছে।।মিস্টার চ্যাটার্জি,,,আপনার কি শরীর খারাপ লাগছে?
ইভান নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে কলিকে বলল,,,আমি ঠিক আছি।।আমার কথা না ভেবে এখন আপনি নিজের কথা ভাবুন।।দেখে তো মনে হচ্ছে সকাল থেকে কিছু খাননি,,মুখটা শুকনো হয়ে গেছে তার ওপর মায়ের এক্সিডেন্ট এর খবর শুনে তখন থেকে কেঁদেই চলেছেন।।
ইভানের কথা শুনে কলির অবাক হয়ে ইভানের দিকে তাকায়।।।কলির দীঘির মতো শান্ত চোখযখন ঈশানের গভীর চোখের মাঝে তাকায় তখন ইভানের হার্ট বিট দ্রুত বেড়ে যায়।।
এদিকে সায়ন এসে কলির হাত ধরে বলে,,দি ভাই মাকে কবে ছুটি দেবে?
ইভান ওর কাছে হাঁটু গেড়ে বসে বলে চ্যাম্প,,,তোমার মাকে অনেক তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেবে ডক্টর আংকেল।।তবে তার জন্য কিন্তু তোমাকে গুড বয় হয়েদি ভাইয়ের সব কথা শুনতে হবে।।
আমি এমনিতে গুড বয় তুমি দি ভাই কে জিজ্ঞেস করো দিভাই আমাকে যা বলে আমি তাই করি,,বিশ্বাস না হলে তুমি দিভাইকে বল,,,দি ভাই,,,,,তুমি বল দাভাইকে আমি তোমার কথা শুনি না।।
কলি অবাক হয়ে দুজনের কথা শুনছে।।আসলে কলি ভাবছে ওর ভাই কি সহজে এই ছেলেটার সাথে কিভাবে মিশে গেল।।
পিকলু মা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে আমাদের সাথে বাড়ি ফিরবে।।তবে তুমি কিছুদিন মিলিদির বাড়িতে থাকতে পারবে তো?
সায়ন ঘার না রে,,, হ্যাঁ মিলিদি বাড়িতে আমি থাকতে পারবো তুমিও থাকবে তো?
না পিকলু, তুমি থেকো আমি তোমার কাছে থাকবো না ,,মাকে দেখতে হবে তো।।আমি মায়ের কাছে থাকবো সোনা।।
- পিকলু কি বুঝলো জানিনা তবে ঘাড় নাড়লো আচ্ছা ঠিক আছে।।
- এদিকে দুই ভাই বোনের কথা শুনে মোটেও খুশি হয়নি ইভান।।সে চেয়েছিল কলি আর ওর ভাই ওর সাথে ওর বাড়িতে যাক।।আসলে কেন জানেনা কলির জন্যওর মনে একটা আলাদা রকমের টান অনুভব হয়েছে,,সেটা কিসের টান সেটা ও নিজেও জানেনা।।
- রিসেপশন থেকে পেশেন্টের নাম বললে কলি আর ইভান দুজনে রিসেপশনে যায়।।
- দেখুন পেসেন্টের এখনো জ্ঞান ফেরেনি ২৪ ঘন্টার আগে বলা যাবেনা,,তবে মিস্টার চ্যাটার্জি মিতা দেবীর জন্য ২৪ ঘন্টার নার্সের ব্যবস্থা করেছেন।।
- এই কথা শুনে আবারো কলি ইভানের দিকে তাকালো।।মানুষটা তাদের জন্য এত কিছু ভেবেছে
- রিসেপশন থেকে বেরিয়ে ইভান কলিকে বলল,,আপনি যখন আমার সাথে যেতেন চান না তখন আপনার বন্ধুর বাড়িতেই না হয় আমি পৌঁছে দিচ্ছি।।
- কলি সম্মতি জানিয়ে ইভানের সাথে মিলির বাড়ির দিকে রওনা হলো।।।
__________________চলবে_________________
( গল্পটি ভালো লাগলে আমাকে মেসেজে দেবেন,,,আপনাদের কমেন্টে আমার ভুল ত্রুটি গুলো আমি বুঝতে পারবো আর তাতে আগামী দিনে আরো একটু ভালো করে লেখার চেষ্টা করবো।।)
FAQ
ইভান ও কলির সম্পর্ক কেমন হবে?
ইভান ও কলির প্রথম সাক্ষাৎ থেকেই শুরু হয়েছে এক অদ্ভুত টান। পরবর্তী পর্বে জানুন কীভাবে তাদের সম্পর্ক এগিয়ে যায়।সায়নের চরিত্র গল্পে কী ভূমিকা পালন করবে?
সায়নের সরলতাই কি ইভান ও কলির দূরত্ব কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে? এই কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে যাবে গল্প।ইভানের পরিবার ও তার বর্তমান জীবন নিয়ে কেন এত কঠিন ভাবনা?
ইভানের অতীত কি তাকে এত বদলে দিয়েছে? পরবর্তী অংশে এর বিস্তারিত প্রকাশ হবে।কলি কি ইভানের সাহায্য গ্রহণ করবে, নাকি নিজেই লড়াই করবে?
কলির সিদ্ধান্তই গল্পে নতুন মোড় আনবে। জানুন পরবর্তী পর্বে।
SEO ট্যাগস:
- বাংলা গল্প
- রোমান্টিক গল্প
- বাংলা প্রেমের গল্প
- SEO ফ্রেন্ডলি বাংলা গল্প
- ইভান ও কলির প্রেম
Thanks for your feedback