Bondini - Episode - 18।। New Bengali Story 2024
যখন ভালোবাসা আর আঘাতের মধ্য দিয়ে মীরার জীবন কাঁপতে থাকে, রাজবীর কি পারবে সব ভুল ভেঙে তার পাশে দাঁড়াতে?
বন্দিনী :- পর্ব -- ১৮ | ভালোবাসা আর বিশ্বাসের লড়াই | Bangla Love Story
ওই একই রেস্টুরেন্টের নির্জন কোনার দিকে একটা বড়ো টেবিলের একপাশে বসে আছে রাজবীর আর তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে ডেভিড। ওদের ঠিক সামনেই মিস্টার গোমস আর স্যামুয়েল বসে আছে।
,
তাহলে মিস্টার সিংঘানিয়া আপনি কি ডিসিশন নিলেন হসপিটালের জন্য।দেখুন আপনি আপনার ঠাম্মিকে এখানে রেখেই চিকিৎসা করাবেন বলে ঠিক করেছে।আমি আর স্যামুয়েল এতগুলো বছর ধরে এই হসপিটালের দায়িত্বে আছি।এবার যখন আপনি এসেই গেছেন তাহলে প্লিজ আপনি আপনার নিজের হসপিটালের দায়িত্ব টা নিন। ওরাও জানুক ওরা কার আন্ডারে জব করছে।
,
দেখুন মিস্টার গোসম আমি দায়িত্ব নিতেই পারি কিন্তু আপনি তো জানেন আমি এখানে শুধু ঠাম্মির জন্যই আসিনি আমি মিস্টার থমাসের কোম্পানির সাথে একটা দিল সাইন করতেও এসেছি।অস্ট্রেলিয়ায় সিংঘানিয়া গ্রূপের একটা বড়ো হোটেল কাম রিসর্ট তৈরী হবে।যেটা হবে বন্ডি বিচের কাছে।
,
ওয়াও,,,এটাতো খুব কথা কিন্তু তারপরেও বলবো আপনি প্লিজ আজকের মিটিংটা জয়েন করে সব ডক্টর ও স্টাফেদের সাথে একবার মিট করে নিন।
,
রাজবীর একবার ডেভিড এর দিকে তাকালে ডেভিড হাতে থাকা ট্যাবে রাজবীরের সিডিউল দেখে বলে,,,,,,প্রেসিডেন্ট আজকে আপনার মিস্টার থমাসের সাথে আর কোনো মিটিং নেই।শুধু ডক্টর সিদ্ধার্থ সিনহার সাথেই মিটিং আছে তাও ওটা ওই 7 টার সময়।
,
তাহলে আর কোনো প্রব্লেমই নেই মিস্টার সিংঘানিয়া আপনি তো অলরেডি হসপিটালেই যাবেন তাহলে আগেই চলে আসুন । সবার সাথে পরিচয় হয়ে যাবে।
,
ঠিক আছে আমি যাবো।
রাজবীর উঠে নিজের মুখে একটা সিগার ধরাতে যাবে তার আগেই ওর চোখ চলে যায় রেস্টুরেন্টের প্রবেশ দ্বারে। ও দ্যাখে একটা মেয়ে লাল ঢাকাই শাড়ি পরে খোলা চুলে মুখ নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,,আর মেয়েটার সামনে হাঁটু মুড়ে একটা ছেলে বসে মেয়েটার শাড়ির কুচি ঠিক করে দিচ্ছে।
যেহেতু মেয়েটা খোলা চুল তার ওপর মুখ নিচু হওয়ার জন্য মেয়েটার মুখটাই দেখা যাচ্ছেনা।
এইরকম মিষ্টি একটা দৃশ্য দেখে তিনবছর আগের একটা দৃশ্য ফুটে ওঠে রাজবীরের চোখের সামনে।
বিয়ের তিন মাসের মাথায় তোজোর জন্মদিনের দিন ওর দিভাই আর মীরা সকাল বেলায় যাবে মন্দিরে পুজো দিতে। তাই সকাল সকালই মীরা স্নান সেরে একটা লাল ঢাকাই শাড়ি পরে রেডি হচ্ছিলো আয়নার সামনে।
- একবার বিছানায় ঘুমন্ত রাজবীরকে দেখে মীরা তাড়াতাড়ি করে রেডি হচ্ছিলো।একে শাড়ি তার ওপর সেটা আবার ঢাকাই কিছুতেই নিজের কুচি ঠিক করতেই পারছেনা মীরা।অলরেডি তিনবার শাড়ি শাড়িটা খুলে আবার পড়েছে। শেষে হাল ছেড়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে ভাবছে কি করবে সোহা দিকে ডাকবে নাকি নিজেই চলে যাবে।
- ঠিক ওই সময়ই ওকে চমকে দিয়ে ওর হাত থেকে শাড়ি নিয়ে সুন্দর করে মীরার কুচি করে দেয় রাজবীর।শাড়িতে প্লিট করে তাতে সেফটিপিন দিয়ে সিকিওর করে যাতে প্লিটগুলো নষ্ট না হয়ে যায়।
- আর মীরা সেতো ওই ভাবেই স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে চুপ করে।ও তো ভাবতেও পারেনি ওকে শাড়ি পড়াতে হেল্প করবে রাজবীর।কারণ গত তিনমাস ওদের বিয়ের পর থেকেই রাজবীর যে ব্যবহার শুরু করেছে ওর সাথে তারপর ওর এভাবে ওকে সাহায্য করাতে স্বাভাবিক মীরা একটু আশ্চর্য্য হয়ে যায়।
শাড়ি পড়ানো শেষ হলে মীরা রাজবীরকে থ্যাংক ইউ বলে।
,
লাগবেনা থ্যাংক ইউ,,,,এরপর থেকে খেয়াল রাখবে যাতে নিজের জিনিস নিজে করতে পারো। কারোর যাতে হেল্প না লাগে। এখানে আমি এখন হেল্প না করলে তুমি দি এর কাছে নয়তো ঠাম্মির কাছে যেতে।যেটা আমার পছন্দ নয়।তোমার জন্য এমনিতেই আমার দি এর জীবন নষ্ট হয়ে গেছে তাই তুমি ওকে আরো বিরক্ত করো সেটা আমি চাইনা।
,
রাজবীরের কথা শুনে মীরার চোখে জল এসে যায়।তবুও সেটা যাতে রাজবীর না দেখে তাই মুখটাকে নামিয়ে রাখে।
,
আর শোনো আজকে চ্যাম্পের জন্মদিন তাই দি ওকে নিয়ে মন্দিরে যাবে পুজো দিতে ওর ভালোর জন্য।কিন্তু তুমি আর জন্য যাচ্ছো ওদের সাথে ওখানে।
,
আ,,,আমিও যাচ্ছি তোজোর জন্য পুজো দিতে আর দিভাই বললো আজকে মন্দিরে নিনের হাতে রান্না করে কাঙালী ভোজন করাবে।তাই আমিও দিভাইকে রান্না করতে সাহায্য করবো।
,
- রাজবীর মীরার গালটা চেপে ধরে ওর দিকে তুলে ধরলো।তারপর কাটা কাটা ভাষায় বললো,,,,,,,, কি নাটক করতে যাবে তুমি যাচ্ছো সেটা কি আমি জানিনা ভেবেছো।এই যে তোজোকে নিয়ে এতো বেশি ভালোবাসা দেখাচ্ছ কি ভেবেছো আমার দির লাইফে তোমার ওই থার্ড ক্লাস দাদাকে আবার নিয়ে আসবে,যাতে আমার দির লাইফটা আবার নষ্ট হয়ে যাক।রাগে চেঁচিয়ে বললো রাজবীর।
- বীর,,,, লাগছে আমার ছাড়ো।মীরা ককিয়ে উঠে বললো।রাজবীরের হাতের চাপে ওর জিভে রক্তের নোনা স্বাদ পেতে শুরু করেছে।ওর গালের ভিতর দাঁতের চাপে কেটে গেছে।
- লাগুককক,,,,,, আরে এই টুকু ব্যথায় কষ্ট হচ্ছে মীরা রাজপূত,,,,তাহলে ভাবো দিনের পর দিন মাসের পর মাস আমার দি কে এর চেয়েও বেশি কষ্ট সহ্য করতে দেখেছি আমি।
এই কষ্ট কিছুই নয় সেটা। কান খুলে শুনে রাখো মীরা তুমি যদি ভেবে থাকো আমার দি এর জীবনে ওই মিহির রাজপূত কে আবার নিয়ে আসবে তাহলে নিজের মায়ের মুখটা জীবনেও দেখতে পাবেনা আর।
,
নাহ্হঃ,,,,,,, আম,,,আমি,,আমি তো বলেছি তোমাকে আমি দাদাভাইয়ের সাথে কোনো যোগাযোগ রাখিনি।তার পরেও তুমি কেন আমাকে এইসব বলছো।
,
রিয়েলিইই,,,,,মিস মীরা রাজপূত,,,,,,ইফ ইওর কাইন্ড ইনফরমেশন আমার চোখ কিন্তু সব জায়গাতেই ঘুরে বেড়ায়।তুমি যদি ভেবে থাকো আমাকে লুকিয়ে তোমার ওই সো কল্ড প্রেমিক ডক্টর আকাশ সেনের সাথে দেখা করবে আর সেটা আমি আমি জানতে পারবোনা তাহলে খুব ভুল চিনেছো আমাকে।
দাঁতে দাঁত চেপে রেগে বললো রাজবীর।
,
চকিতে তাকালো মীরা।কারণ ও ভাবতেই পারিনি কালকে আকাশের সত্যে দেখা করার কথাটা রাজবীর কিভাবে জানতে পারলো।
,
মীরার মুখ দেখেই রাজবীরের মাথাটা আরো রেগে গেলো।ও মীরার একটা বাহু ধরে ওর দিকে টেনে এনে বললো,,,,,,,,,, তুমি বোধহয় ভুলে গেছো একবছরের জন্য তোমাকে আমি বিয়ে করেছি।আর তুমি আমার ওয়াইফ।তাহলে কোন সাহসে তুমি তোমার এক্স বয়ফ্রেন্ডের সাথে কফিসপে দেখা করো।আনসার মি ড্যাম ইট।
,
রাজবীরের চিৎকারে মীরা চোখ বন্ধ করে নেয়।বিয়ের পর থেকেই আকাশকে নিয়ে রাজবীরের এমন নোংরা কথা শুনেই যাচ্ছে।যেখানে রাজবীর নিজেওখুন ভালো মতোই জানে ওর সাথে আকাশের কোনো রকমের সম্পর্কই নেই।তারপরেও ওকে এইসব কথা বলে আঘাত দেয় রাজবীর।
আর হ্যাঁ যেহেতু একবছরের জন্য আমরা স্বামী স্ত্রী সেহেতু আমি বলবো একটু হলেও আমার ওপর বিশ্বাস রাখো।আমি কিন্তু সত্যিই দিভাই আর দাদাভাইয়ের বিষয়ে জানতামনা।কারণ তখন আমি আর মা এখানেই থাকতামনা।তারপরেও আমি তোমার সব কিছু সহ্য করে যাচ্ছি।
আর একটা কথা ,,,,একবছর পর তোমার সাথে যখন আমার কোনো সম্পর্ক থাকবেনা তখনও কিন্তু তোজোর সাথে আমার একটা সম্পর্ক থেকে যাবে।সেটা মামীর নয় পিসি হয়েই আমি ওর সারাজীবন থেকে যাবো।তোজো আমার দাদাভাইয়ের অংশ তাই ওর জন্য আমার ভালোবাসাটা মন থেকেই আসে । আমিতো আর তোমার মতো ভালোবাসার নাটক করতে জানিনা।যদি জানতাম তাহলে হয়তো আজকে এই বাড়িতে তোমার জীবনে কখনোই আসতামনা।কথাটা বলেই মীরা কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা নেমে যায় নিচে।
,
- প্রেসিডেন্ট,,,,,,,,,,,, ডেভিড এর ডাকে ধ্যান ভাঙে রাজবীরের।
- হ,,,,হম্ম বল।
- বলছি লাঞ্চ দেওয়া হয়ে গেছে মিস্টার গোমসরা ওয়েট করছে আপনার জন্য।
- রাজবীর হাতে ধরা সিগার টাকে ডাস্টবিনে ফেলে ঢুকে যায় ভিতরে।
,
হ্যাপি ব্যার্থডে টু ইউ,,,,,,, সং এ মুখরিত হয় গোটা রেস্টুরেন্ট। মীরাকে ঘিরে মিহির,সোহা,আকাশ,মিহিকা,অলিভিয়া ,সিদ্ধার্থ আর ওদের সেই ছোট্ট তোজো দাঁড়িয়ে আছে।
মীরা ক্যান্ডেলে ফু দিয়ে কেক কেটে প্রথমেই খাওয়ায় ওর তোজো সোনাকে।তোজোও কেক নিয়ে ওর পিপিকে খাইয়ে দেয়।তারপর মীরা সবাইকে একে একে কেক খাইয়ে দিয়ে সিদ্ধার্থের সামনে এসে দাঁড়ায়।কিন্তু কিছুটা অপ্রস্তুত হয়েই সিদ্ধার্থকে কেক খাইয়ে দিতে পারেনা।
সিদ্ধার্থও মীরার এই অপ্রস্তুত ভাব বুঝতে পারে তাই ওর হাত থেকে নিজেই কেকে টা নিয়ে প্রথমে ওকে একটু খাওয়ায় তারপর নিজে খায়।
,
এরই মাঝে ওই কেক থেকে অলি একটু ক্রিম নিয়ে মীরার দুই গালে মাখিয়ে দিয়ে বলে,,,,,,হ্যাপি ব্যার্থডে বেস্টু। আমি চাই তোর লাইফে এমন কেউ আসুক যে তোকে তোর নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসুক।কথাটা বলার সময় একবার আড়চোখে নিজের দাদাভাইকে দেখে নেয় অলি।কারণ ও খুব ভালো করে জানে ওর দাদাভাই মীরাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছে।
,
হাহাহা,,,,,, কি মজা পিপিকে কেক মাখিয়ে দিয়েছে অলি পিপি।তোজো হাততালি দিয়ে বললো।
,
আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে এবার সবাই খেতে বসো।আর মীরা তুই যা গিয়ে মুখটা ধুয়ে আয়।
,
মীরা ওখান থেকে উঠে ওয়াশরুমের দিকে গেলে সিদ্ধার্থও ওয়াশরুমে যায়।কারণ মীরা সবাইকে কেক খাইয়ে দিলেও সিদ্ধার্থকে খাওয়ায় না।
,
ওরা দুজনই যখন ওখান থেকে চলে যায় তখন আকাশ মিহিরকে বলে,,,,,,, মিহির,,,,আমি আজকে তোকে মীরার ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই।
,
- আকাশের কথা শুনে ওখানে বসা সবাই স্বপ্রশ্ন তাকায় ওর দিকে।
- হ্যাঁ বল কি বলবি।মীরার কিছু হয়েছে নাকি।মানে ও কি আবারও আগের কথা,,,
- না আমি মীরার আর সিদ্ধার্থের কথা বলবো তোকে।
- মানে,,,আমি ঠিক বুঝলাম না।
দেখ মিহির মীরা আর রাজবীরের মধ্যে যেটা হয়েছে সেটাতো আর বদলানো সম্ভব নয়।কিন্তু ওদের ডিভোর্স যখন হয়ে গেছে তখন মীরার উচিত নিজের জীবনে এগিয়ে যাওয়া। তিন বছর হয়ে গেছে আর কতদিন ওই তিক্ত অতীতকে নিয়ে মীরা পরে থাকবে। ওর ও নিজের লাইফে ভালোভাবে বাঁচার অধিকার আছে,তাহলে শুধুমাত্র ওই শয়তানটার জন্য কেন মীরা নিজের জীবন নষ্ট করবে।
,
আকাশের মুখে নিজের ভাইয়ের নামে খারাপ কথা শুনেও সোহা কিছু বলেনা।কারণ ওর ভাই একটা নিরপরাধ মেয়েকে যেভাবে কষ্ট দিয়েছে তারপরে ওর হয়ে কোনো কথা বলতা সত্যিই অপরাধের।তাই সোহা চুপ করে তোজোকে খাওয়াতে লাগলো।
,
,
এদিকে ওয়াশরুমে এসে মীরা টিসু দিয়ে নিজের মুখ পরিষ্কার করছে। কিন্তু কেন জানেনা ওর বুকের মধ্যে ওর হৃদয় যেন হঠাৎই জোরে জোরে চলতে শুরু করে।ওর এই অনুভূতিটা একমাত্র একজনের সামনে থাকলেই হয়।কিন্তু এখানে সেটা কি করে সম্ভব।
,
মিস রায়,,,,,আপনার কি হয়ে গেছে।পাশে ছেলেদের ওয়াশরুম থেকে আওয়াজ আসে মীরার জন্য।
,
মীরা সেই আওয়াজ শুনে বলে ,,,,,হ্যাঁ হয়ে গেছে জাস্ট এক মিনিট দাঁড়ান আমি আসছি।কথাটা বলেই মীরা তাড়াতাড়ি মুখটা ধুয়ে নেয়।আর বাইরে বেরিয়ে যায়।
,
ঠিক এই সময় মেন ওয়াশরুম থেকে আর একজন বাইরে বেরিয়ে আসে ,,,সে দ্যাখে কিছুক্ষন আগের সেই ছেলে মেয়ে টা যার শাড়ির কুচি ঠিক করে দিচ্ছিলো ছেলেটা।এবারেও ওদের মুখ দেখতে পেলোনা রাজবীর।কিন্তু দুজনের আওয়াজ শুনতে পেয়েছে।আর তাতেই ও এমন ভাবে ছুটে বেরিয়ে আসে।কারণ মেয়েটার গলার স্বর যে একদম ওর ,,,,,,,মীরার মতো।
,
মীরার জন্য যে কেকটা আনা হয়েছিল মিহুর সেটা ওখানের সবার সাথেই শেয়ার করতে বলে।তাই ওয়েটার ওটা নিয়ে সবাইকেই এক টুকরো করে কেটে কেটে দেয়।
রাজবীরদের টেবিলেও একটুকরো কেক আসে।
,
রাজবীর যখন ওই ছেলে মেয়েটার কোনো খোঁজ আর না পায় তখন নিনের টেবিলে ফিরত আসে। আর এসেই দেখে ওদের টেবিলে কেকের প্লেট। জন্মদিন বিষয়টা ওর জীবনে অভিশপ্ত তাই রেগেই ও প্লেটটা ফেলতে যায় কিন্তু হাতে ধরার আগেই ওর চোখ যায় কেকের ওপরে নামটা দেখে,,,,,,,,,,,,,মীরা।
Thanks for your feedback