Translate

Bondini - Episode - 16-প্রেম, প্রতিশোধ আর হারানোর গল্পে-Bangla Love Story

 Bondini - Session 1 । Episode - 16 । New Bengali Story 2024

রাজবীরের জীবনে মীরার অনুপস্থিতি যেন জীবনের কষ্টকেই চরমে নিয়ে গেছে। এক সময় যে ছিল তাঁর হৃদয়ের রাজরানী, সেই মীরাকে আবার ফিরিয়ে আনতে কি কোনো উপায় খুঁজে পাবে কি ? 



রোম্যান্টিক বাংলা গল্প বন্দিনী :- পর্ব - ১৬ 

সিডনি এয়ারপোর্ট...............

,

ডেভিড আজকের সিডিউল কি আছে।

,

প্রেসিডেন্ট ,,,,,,,,আজকে ফার্স্টে মিস্টার থমাসের সাথে একটা মিটিং আছে । আর তারপর ঠাম্মি মানে মিসেস সিংঘানিয়াকে নিয়ে আপনি লাইফ কেয়ার হসপিটালে নিয়ে যাবেন ওনার চেকাপের জন্য ডক্টর সিদ্ধার্থ সিনহার কাছে।

,

হম্ম। তারপর রাজবীর পাশে বসা ওর ঠাম্মির দিকে একবার তাকালো,,,,কারণ গতকালই ওর সাথে কথা হবার পর আচমকাই গায়েত্রী দেবী উত্তেজিত হয়ে যায় আর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সিংঘানিয়া পরিবারের যে ডক্টর ওনাকে দেখতো মিস্টার রামানুজ তার সাথেও ওদের আজ কোনো সম্পর্ক নেই।কারণটা আজ রাজবীর জানে কিন্তু সে এখন নিরুপায়।


তাই শহরের বেস্ট ডক্টর কে নিয়ে আসে ওর ঠাম্মির জন্য।ডক্টর গায়েত্রী দেবীকে পরীক্ষা করে জানান ওনার হার্টের অবস্থা খুব একটা ভালো নেই।শুধু শারীরিক নয় মানুষিক ভাবেও বিধস্ত্ব আজ গায়েত্রী দেবী।যদি ওনাকে সুস্থ করতেই হয় তবে এই পরিবেশ থেকে ওনাকে বের করে আনতে হবে।

আর ডক্টর রামানুজের পর ওনার একমাত্র যোগ্য অধিকারী হলো ওনারই স্টুডেন্ট সিদ্ধার্থ সিনহা।যে এখন অস্ট্রেলিয়ার লাইফ কেয়ার হসপিটালে জব করেন।

,

ঠাম্মি তুমি শিলার সাথে ম্যানশনে চলে যাও আমি মিটিং শেষে তোমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাবো।

,

গায়েত্রী দেবী কোনো জবাব না দিয়ে চুপচাপ অন্য গাড়িতে চেপে চলে যায়।

,

রাজবীর একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলে,,,,,,,,,,,,,ঠাম্মি কি আর কখনোই আমার সাথে কথা বলবেনা ডেভিড।আমিতো মানছি আমি ভুল করেছি।আর তার জন্য প্রতিটা মুহূর্তে আমি অনুশোচনায় ভুগছি।তাকে তো সারা পৃথিবীতেই আমি খুঁজে যাচ্ছি আজও।আমিও মানুষ ডেভিড,,আমারও কষ্ট হয়।আমিও হারিয়েছি আমার ভালোবাসাকে,আমার সন্তানকে।


যাকে মায়ের আসনে বসিয়েছিলাম তাকেও হারিয়েছি।সাথে আমার দিদি ও আমার চ্যাম্পকে। তাহলে সবাই নিজের কষ্টটাই বুঝছে কিন্তু কেউ আমার ক্ষতটাকে দেখতে পাচ্ছেনা।রাজবীরের গলায় হাহাকার শুনতে পেলো ডেভিড।আজ এতো বছর এই মানুষটার সাথে আছে ও কোনোদিনের জন্য এই মানুষটাকে এতটা ভেঙে পড়তে দেখেনি।


শুধু যেবার মীরা কে হারিয়ে ফেলেছিলো সেইবার এই মানুষটার পাগলামি দেখেছিলো ও। পাগলের মতো ছুটে গেছিলো হসপিটালে,,সেখানে যখন মিহির ওকে দ্যাখা করতে বাঁধা দেয় যে রাজবীর আজ পর্যন্ত কারোর সামনে মাথা নত করেনি সেই রাজবীর সিংঘানিয়া নিজের ভালোবাসা  মীরার জন্য হাত জড়ো করে ভিক্ষা চেয়েছিল একবার ওকে মীরার সামনে যেতে দেবার জন্য। মিহিরের কোনো ক্ষমতাই ছিলোনা ওকে আটকাবার।তাও সেদিন অনেক রিকুয়েস্ট করেছিল রাজবীর মিহিরের কাছে। কিন্তু নাহ সেদিন সে দ্যাখা পায়নি মীরার মন ভাঙার গল্প এর মতো তার জীবন ভেঙে যায় । 



আর তারপর তো মেয়েটা সহ ওর গোটা পরিবার এমনকি সোহা দিদি ও ছোট্ট তোজো সোনাও সেদিনের পর থেকে পুরো গায়েব হয়ে গেলো।আর তার সাথে রেখে গেলো এক অচেনা,দুর্ভেদ্য কঠিন রাজবীর সিংঘানিয়াকে। মানুষটার মধ্যে শুধু শ্বাস টাই পরছে,,, প্রাণটা যে ওই মেয়েটার কাছেই পরে আছে। কিন্তু ডেভিড জানে ওর প্রেসিডেন্ট নিজের ভুলেই শাস্তি পাচ্ছে।



একটা অসহায় মেয়েকে ভুল বুঝে দিনের পর দিন শাস্তি দিয়ে গেছে।যখন জানে এতে ওই মেয়েটার কোনো দোষ ছিলোনা শুধুমাত্র নিজের ইগোকে স্যাটিসফ্যায়েড করার জন্য করেছে।তখন তো এই শাস্তিটা ওর প্রেসিডেন্টকে পেতেই হবে এ যেন এক বিরহের গল্প


ডেভিড কোনো কথা না বলে চুপচাপ গাড়ি ড্রাইভ করে মিস্টার থমাসের অফিসের দিকে রওনা হয়।


হ্যাপি বার্থডে মীরা,,,,,,,,,,,,,এক গুচ্ছ সাদা গোলাপ হাতে নিয়ে মীরাকে জন্মদিনের উইশ্ করলো সিদ্ধার্থ। হ্যাঁ ,,,,এই সেই সিদ্ধার্থ সিনহা যে একজন পেশায় হার্ট সার্জেন আর ডক্টর রামানুজ আইয়ারের বেস্ট স্টুডেন্ট।ওর আরো একটা পরিচয় আছে ও অলিভিয়ার দাদা হন।নিজের দাদার মতোই অলিভিয়াও একজন ডক্টর কিন্তু ও হার্টের নয় ও গাইনোলজিস্ট। 

সিদ্ধার্থের মুখে নিজের জন্মদিনের কথা শুনে অপ্রস্তুত হয়ে যায় মীরা।কারণ আর কেউ না জানুক কিন্তু ও তো জানে আজকের দিনেই তিন বছর আগে নিজের মাকে ও নিজের গর্ভের সন্তানকে একসাথে হারিয়ে ফেলেছিলো চিরতরে।তাই এই দিনটা ও কোনোমতেই পালন করতে চায়না।



বরং ও চায় এই দিনটা যাতে কোনোভাবেই ওর জীবনে না আসে।কিন্তু সেটা সম্ভব নয়।চেষ্টাতো করেছিল নিজেকে শেষ করার কিন্তু দাদাভাইয়ের জন্য সেটাও পারলোনা।ওই মানুষটাও তো ওর জন্য নিজের অস্তিত্বটাই বিসর্জন দিয়ে সব ছেড়ে এখানে উঠে এসেছে। যার এক সময় নিজের কোম্পানি ছিল সেই এখন অন্যের কোম্পানিতে জব করছে,,,শুধুমাত্র ওর জন্য।


আর ওর বৌদিভাই সেও তো নিজের আপনজন নিজের পরিবার ছেড়ে এখানে এসে আছে। প্রথমে তো দাদাভাই তো বৌদিভাইকে মেনে নিতে চায়নি।অনেক বুঝিয়ে শেষে এখন ওরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কাছে এসেছে।এখন মীরা সত্যিই আর চায়না ওর জন্য ওর কাছের মানুষেরা কষ্ট পাক।আর এই কাছের মানুষের মধ্যে অলিভিয়াও পরে।তাই ওর খারাপ লাগলেও শুধুমাত্র অলিভিয়ার জন্য ওর দাদার দেওয়া ফুলটা একসেপ্ট করলো ও।

,

থ্যাংক ইউ মীরা আমার দেওয়া গিফটটা কে একসেপ্ট করার জন্য।

,

মীরা কিছু না বলে শুধু হালকা হাসলো। 

,

আরে সিদ্ধার্থ তুমি জানতে আজকে মীরার জন্মদিন।আকাশ অবাক হয়েই প্রশ্নটা করলো।

,

সিদ্ধার্থ মাথা চুলকে বললো,,,,,,আসলে আমি না অলিই আমাকে মনে করিয়েছিল। ও তো জানে ওর বন্ধুর জন্মদিন টাই ওকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্যই আমাকে ফুল আনতে বলেছিলো।কিন্তু কি ফুল কিনবো সেটাই বুঝতে পারিনি।তাই আমার পছন্দের সাদা গোলাপই আমি মীরাকে দিলাম।

,

আরে তোমারও সাদা গোলাপ পছন্দের।

,

হ্যাঁ ,,,,মানে আর কারোর কি সাদা গোলাপ পছন্দের।

,

আকাশ হেসে বলে,,,,,হম্মম সিদ্ধার্থ,,তুমি আজকে যার জন্য ফুল এনেছো তারই খুব পছন্দের সাদা গোলাপ।

,

সিদ্ধার্থ আকাশের কথা শুনে একভাবে মীরার দিকে তাকিয়ে থাকে।মেয়েটার পছন্দ আর ওর পছন্দের মধ্যে অনেকটা মিল আছে।এটা ও আগেও দেখেছে আর আজকেও দেখলো। ও যেমন শান্ত মার্জিত কথা বলে তেমনি মীরাও খুবই শান্ত ধীর মার্জিত কথা বার্তা বলে।দুজনেরই প্রিয় শান্ত নিরিবিলি প্রকৃতি তে চুপচাপ ভাবে বসে থাকা।আবার দুজনেরই পছন্দ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।



হ্যাঁ আকাশ বিদেশে বড়ো হলেও ওর পছন্দ কিন্তু খাঁটি বাঙালীদের মতো। তাইতো ওর রক্তে যেমন নেতাজি আছে তেমনি রবীন্দ্রনাথও আছে।

অলিভিয়া হলো পুরো উল্টো।ওর কাছে জীবন মানে হই হুল্লোড়, মজা,ঘোরা বেড়ানো ,পার্টি করা এইসব।কারণ ওর মতে জীবন একটাই তাই তাকে সবদিক থেকে উপভোগ করা উচিত।


বন্দিনীর সকল পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন  -  বন্দিনী ভালোবাসার বাংলা গল্প




আহ,,,,আকাশ দা প্লিজ তুমি তো সব জানো তারপরেও।মীরা একটু অপ্রস্তুত হয়ে বললো।কারণ ও খুব ভালো করে জানে সিদ্ধার্থের মনে ওর জন্য একটা সফ্ট কর্নার আছে।ও একটা মেয়ে হয়ে একটা ছেলের চোখকে বুঝতে পারে।আর এটাই ও চায়না।ও চায়না সিদ্ধার্থ কোনো ভুল ভাবনা ওর জন্য মনে নিয়ে বসে না থাকে।

মীরা আর এইসব কিছুই চায়না।ভালোবাসা শব্দটাই ওর কাছে অভিশপ্ত।আজকে এই ভালোবাসার জন্যই ওর মা আর ওর সন্তান ওর কাছে নেই।তাই আর কোনো মিথ্যা ভালোবাসার আর না কোনো মুখোশের কোনো কিছুরই ওর দরকার নেই। ও ভালো আছে এখন একার একাকিত্বে।চাইনা ওর আর কাউকেই।




সরি মীরা আমি জানি তুমি এইসব অনুভূতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখছো।আর কার জন্য সেটাও আমি জানি।কিন্তু আমি কি করে পারবো বল,,,তোমাকে যে আজও আমি মনে মনে খুব ভালোবাসি।হ্যাঁ আজকে আমার জীবনে মিহু অনেকটাই স্থান করে নিয়েছে।কিন্তু তারপরেও আমার মনের এক গোপন কোনে তুমি আজও একই ভাবে থেকে গেছো।


আমি তোমার এই কষ্ট কিছুতেই সহ্য করতে পারছিনা।আমি জানি তুমি আজও ওই মানুষটাকে ভালোবাসো,,,,,,,হ্যাঁ তুমি স্বীকার না করলেও আমি জানি তুমি আজও ওই মানুষটার নামে সিঁদুর পর।তুমি শত চেষ্টা করেও আমার কাছে লুকাতে পারোনি। 

আমি সেদিনই তোমার সিঁথিতে দেখে নিয়েছি যেদিন তোমার মাথায় পেইন হচ্ছিলো বলে আমার থেকে মেডিসিন নিতে এসেছিলে আর আমি তোমাকে জোর করে বসিয়ে মাথায় ম্যাসাজ করে দিচ্ছিলাম সেইদিনই আমি দেখে নিয়েছি।কিন্তু মীরা 

আমি চাইনা ওই মানুষটা তোমার জীবনে আর ফিরত আসুক। চাইনা তুমি আর কোনো কষ্ট পাও।অনেক কষ্টে আমরা তোমাকে সামলেছি মীরা,,,আর কোনো ভাবেই ভাঙতে দেবোনা,,তারজন্য আমাদের যা যা করতে হয় তাই করবো।

সিদ্ধার্থ পারফেক্ট তোমার জন্য।ও তোমাকে বুঝবে মীরা।আমি যে ছেলেটার চোখে তোমার জন্য ভালোবাসা দেখেছি। শুধু একটু সাহায্য দরকার আমাদের আর আমরা এটা করবোই তোমার জন্য সিদ্ধার্থকে।

আরে সিদ্ধার্থ,,,,,,,,,, তুমি যে তোমার বন্ধুকে উইশ করলে তা তোমার বন্ধু কি তোমাকে কোনো ট্রিট দেবেনা?

,

আকাশের কথায় মীরা সহ সিদ্ধার্থও এবার অপ্রস্তুত হয়ে যায়। সিদ্ধার্থ নিজেকে সামলে নিয়ে বলো,,,,,,আরে কোনো ব্যাপার নয় ডক্টর আকাশ মীরা নাহয় পরেই ট্রিট দেবে কারণ আমার তো এখন সময়ও নেই।কি তাইতো মীরা।

,

মীরা এই কথার কি জবাব দেবে বুঝতে পারেনা।তাই আকাশের দিকে তাকালে আকাশ বলে,,,, পরে নয় সিদ্ধার্থ আজকেই চলো আমাদের সাথে লাঞ্চে।মিহিরদা আজকে মীরার জন্মদিনের জন্য আমাদের সবাইকে ট্রিট দিচ্ছে।তুমি আর অলিভিয়াও আমাদের পরিবারেরই এক অংশ তাই আজকে তোমরাও আমাদের সাথে জয়েন করবে।

,

ওয়াও আকাশদা এটা তুমি খুব ভালো বলেছো।আমি কতদিন বাইরে লাঞ্চে যাইনি জানো।

,

এই তুই তো পরশুই তোর লাস্ট বয়ফ্রেন্ডের সাথে লাঞ্চে গেছিলিস সিদ্ধার্থ বললো।

,

উফফ দাভাই সেটা পুরো 24 ঘন্টা পেরিয়ে গেছে।আর তাছাড়া ওটা ব্রেকাপ লাঞ্চ ছিল।ভালো করে এনজয় করতে পারিনি।কিন্তু এটা আমার বেস্টির বার্থডে বলে কথা ,,,সেখানে আমি জমিয়ে কব্জি ডুবিয়ে খাবো।

,

অলিভিয়ার এই প্রাণচ্ছল ভাব দেখে মীরা আর কোনো আপত্তি করলোনা।তাই ও বললো,,,,,,ঠিক হে মেরি মা তুই যত ইচ্ছে খাস কিন্তু প্লিজ আজকে সবকিছু 5 টার মধ্যে কমপ্লিট করতে হবে।কারণ মিস্টার গোমস আজকে বিকেলে সবাইকে একটা জরুরি মিটিংয়ে ডেকেছে।

,

হম্ম মীরা আমিও জানি কিন্তু কি বিষয়ে মিটিং সেটা জানিনা।আকাশ বললো।

,

আরে আমি জানি কি বিষয়ে ,,,, ওই যে মিস্টার রা,,সিদ্ধার্থ বলতে যাবেই তার আগেই একটা নার্স এসে ওকে জানায় ওয়ার্ড নম্বর 13 এর পেসেন্টের শরীর খারাপ লাগছে।তাই সিদ্ধার্থ দ্রুত ওর সাথেই চলে যায়।

,

ধুররর ,,,,দাভাই তো পুরো কথাটাই বললো না। কে এমন ইম্পর্টেন্ট ব্যক্তি আসবে যে যার জন্য সবাইকে মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হবে।

,

উফফ অলি সে যেই আসুক না কেন যেতে যখন হবে তখন এতো কিছু ভেবে কি লাভ।তার চেয়ে যা গিয়ে তাড়াতাড়ি কাজ করে নে।আবার তো লাঞ্চেও যেতে হবে তো নাকি।

,

হম্ম ঠিক বলেছিস মীরা ডার্লিং এই জন্যই আমি তোকে এত্তটা ভালোবাসি।ওকে আমি যাচ্ছি।টাটা আকাশদা,টাটা মীরা।

,

পাগলি একটা,,,,মীরা হাসতে হাসতে বললো কথাটা।

,

ওর কথা আর হাসিটা দেখে আকাশ বললো,,,,যাক ওর এই পাগলামির জন্য আজকের দিনে তোমার মুখে যে হাসিটা ফুটেছে তার জন্য অলিকে একটা থ্যাংকস তো জানাতেই হবে।

,

আকাশের কথা শুনে মীরার মুখে হাসিটা ম্লান হয়ে যায়। ও নিজেকে সামলে আকাশকে বলে,,,,,, আজকে তোমার কি কি সিডিউল আছে সেটা দেখে নাও প্লিজ।আমাকে আবার মিটিংয়ের জন্য কিছু প্রিপারেশন করতে হবে।

,

আকাশ একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে মীরার থেকে নিজের সিডিউল বুঝে নিয়ে যেতে যেতে ভাবে,,,,,নাহ আজকেই আমাকে মিহিরদা আর বৌমনির সাথে সিদ্ধার্থকে নিয়ে কথা বলতে হবে।আমি জানি মীরা মিহিরদার কথা ফেলতেই পারবেনা। 

আর মীরার জন্য যেটা ভালো হবে আমি সেটাই করবো।আগেরবার ওর কথা না শুনে ওকে হেল্প করতে মেয়েটা যে পরিনাম ভুগেছে তার জন্য ও যে অনেকটাই দায়ী সেটা ও জানে।তাই নিজের এই দায় থেকেই ও মীরার জন্য যেটা বেস্ট হবে সেটাই করবে।মনে মনে ভেবে ও এগিয়ে গেলো ওয়ার্ডের দিকে। মনের আঙ্গিনায় 


FAQ 

ঠাম্মির প্রতি তাঁর অপরাধবোধ রাজবীরের মনকে কুড়ে কুড়ে খায়। এ অপরাধবোধ কি তাঁকে নিজের ভুলের জন্য শাস্তি দেবে?


ভালোবাসার  এই গল্প এ  কি কারণে সিদ্ধার্থ মীরার জন্য এতটা অনুভূতিপ্রবণ? সিদ্ধার্থের এই অনুভূতি কি মীরার জীবনে নতুন পথ খুলে দেবে?


কি কারণে সিদ্ধার্থকে মীরা গুরুত্ব দেয়? তাঁদের বন্ধুত্ব কি কখনো ভালোবাসায় রূপান্তরিত হবে? প্রেমের  এই গল্পে  কি আসছে নতুন কোনো Twiest

জানতে চোখ রাখুন  মনের আঙ্গিনায়


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.
Sedin Choitro Mash-Episode-10-Valobashar-Golpo-2025

Sedin Choitro Mash-Episode-10-Valobashar-Golpo-2025