Bondini - Session 1 । Episode - 11। New Bengali Story 2024
মীরার মা মিনালদেবী তাকে সাহস দেন এবং নিশ্চিত করেন যে রাজবীরের মতো মানুষ মীরাকে সবসময় আগলে রাখবে
কিন্তু
" রাজবীর না সাহিল - মীরার ওপর কার বেশি অধিকার "
বন্দিনী :- পর্ব -- ১১ Bangla Romantic Golpo
সাহিল,,,,,,সাহিল,,,,,কোথায় তুমি। উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে ডাকলো অনিতা দেবী।তিনি একটু আগেই খবর পেয়েছেন মীরা এই এনগেজমেন্ট ভেঙে দিয়েছে।তিনি এর কারণটাও জানতে চেয়েছিলেন কিন্তু মীরা কিছু বলেনি শুধু বলেছে সাহিলের থেকে জেনে নিতে।তার ওপর ওনার বন্ধু মিনালের আবার শরীর অসুস্থ হয়েছিল সেটাও উনি জানতে পারেন মীরার থেকে।আগামী তিনদিন বাদেই অপারেশন হবে সেটাই জানানোর জন্য মীরা ফোন করেছিল। কিন্তু সাহিলের আর ওর বিয়ের ডেট ঠিক করার কথা তুলতেই মীরা জানায় ওর পক্ষে সাহিলকে বিয়ে করা পসিবেল নয়।
এতো বছরের ওদের বন্ধুত্ব আর ছোট থেকেই মীরাকে নিজের ছেলের বৌ হিসেবেই দেখেছিলো অনিতা । কারণ ও খুব ভালো করে চেনে নিজের ছেলের চরিত্রকে। একমাত্র মীরাই পারতো ওর ছেলেকে সঠিক জীবনের রাস্তা দেখাতে।সেই জন্যই মিনালের থেকে ছোট্ট মীরাকে ও আগেই চেয়ে নিয়েছিল ছেলের বৌ করবে বলে।আর দুবছর আগে ওদের এনগেজমেন্টও করিয়ে দেয়।সবই তো ঠিক ঠাক ছিলো তাহলে কি এমন ঘটনা ঘটলো যার জন্য মীরার মতো মেয়ে ওকে সরাসরি এনগেজমেন্ট ভাঙার কথা বললো। এর মধ্যে নিশ্চই ছেলের কোনো দোষ আছে,নাহলে মীরার মতো মেয়ে অকৃতজ্ঞ নয়।রাগে অনিতা দেবীর শরীর থর থর করে কেঁপে উঠছে। তিনি আবারও নিজের ছেলেকে ডাক দিলেন।
,
উফফফফ সকাল সকাল এতো চেঁচাচ্ছ কেনো, কি হয়েছে কি।
,
কি হয়েছে সেটাই তো আমি জানতে চাই।
,
মানে তুমি নিজেই সকাল থেকে চিৎকার করছো আর আমাকে বলছো আমি কারণটা বলবো,,,আজব তো।
,
রিয়েলি সাহিল তুমি সত্যিই জানোনা কি হয়েছে।
,
অনিতাদেবী খুব রেগে গেলেই তুমি করে ডাকে নিজের সন্তানকে।তাই সাহিলও ভিতর ভিতর খুব ঘাবড়ে যায়।ওর মন হয়তো আন্দাজ করেছে কিছু একটা ,তবুও ও নিজের মায়ের মুখ থেকে শুনে নিশ্চিত হতে চায়।
,
প্লিজ মম যা বলার স্পষ্ট বলো,,আমার একটা জরুরী মিটিং আছে অফিসে।
,
সেই এখন তো অনেক বাহানাই দেবে তুমি তাইনা! যাক তুমি যখন বুঝতেই পারছোনা তখন না হয় আমিই তোমাকে বুঝিয়ে বলছি। মীরার সাথে তোমার কি কোনো ইস্যু হয়েছে ?
,
মীরার নাম শুনতেই চমকে তাকায় সাহিল ওর মায়ের দিকে।ও বুঝতে পারছে নিশ্চই মায়ের কাছে কোনো খবর গেছে।তাই নিজের স্বপক্ষে সাহিল বলে ওঠে,,,,, না মম তেমন কিছুই হয়নি , আসলে মীরা আমাকে ভুল বুঝছে।
,
ওহ ভুল বুঝছে,,,,,তা কি এমন ভুল করলে যে মীরার মতো মেয়ে তোমাকে ভুল বুঝে এনগেজমেন্ট ভেঙে দিলো।
,
হোয়াটটটট,,,,, কি বলছো মম।মীরা এনগেজমেন্ট ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু ,,,,
,
ঠিক এই কিন্তুটাই তো আমিও জানতে চাই সাহিল। কি এমন হলো যে হঠাৎ মীরা এমন ডিসিশন নিলো। তার ওপর আমি যতদূর জানতাম মিনুর অপারেশনের টাকাটা ওর এখনো জোগাড় করে উঠতে পারেনি।তাহলে আগামী তিনদিন পরে কি ভাবে মীরা মিনুর অপারেশন করাবে।ওতো মিহিরের থেকেও কোনো হেল্প নেবেনা তাহলে।
,
কথাগুলো শুনে সাহিলের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দেয়। কালকের মধ্যে হঠাৎ এমন কি হলো যে মেয়েটা হঠাৎ এতো টাকা পেয়ে গেলো। নাকি ওর আগে থেকেই মিস্টার রাজপুতের সাথে যোগাযোগ ছিলো।নাহলে রাতারাতি দশ লাখ টাকা ওকে কেইবা দেবে তাও বিনা স্বার্থে।
মীরা,,, আমাকে তুমি বোকা বানালে। তৃণার সাথে দেখে আমার সাথে ব্রেকাপ করাটা তোমার ছিলো জাস্ট আই ওয়াস।আসলে তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাওনি কারণ বিয়ের পর তোমার পুরো সম্পত্তির অর্ধেক মালিক আমিই হতাম তোমার হাসব্যান্ড হয়ে।আর পরে তোমাকে ডিভোর্স দিয়ে পুরোপুরি। উফফফ আমার আগেই বোঝা উচিত ছিলো ,, তোমাকে যতটা বোকা মনে হয় তুমি আদেও ততটা বোকা নও।
কিন্তু আমার নামও সাহিল বর্মা,,,,এতো সহজে আমিতো তোমাকে সব কিছু একা ভোগ করতে দেবোনা।তার জন্য যদি জোর করেও তোমাকে বিয়ে করতে হয় তাহলে তাই করবো।
,
উমম মম ডোন্ট ওয়ারি,,,আসলে কালকে আন্টির শরীর খারাপ থাকায় মীরা আমাকে ফোন করেছিল।কিন্তু আমার মিটিং ছিলো বলে ওর ফোনটা ধরতে পারিনি।তাই হয়তো রাগের মাথায় তোমাকে বলেছে।আর অপারেশনের টাকা মিহিরদা দিয়েছে।পরে ও শোধ করে দেবে বলেছে।আমার সাথে মিহিরদার কথা হয়ে গেছে।তুমি ভেবোনা আমি আজকেই একবার হসপিটালে যাবো আর সব কিছু ঠিক করে আসবো।এমনকি তোমার হবু বৌমার রাগও। ওকে আমি বেরোলাম।
,
সাহিলের কথাগুলো ওর মুখের এক্সপ্রেশনের সাথে মিলছিলো না , কিন্তু অনিতা দেবীর এখন উপায়ও নেই সত্যিটা জানার। তাই উনি ঠিক করেন নিজেই সরাসরি হসপিটালে গিয়ে মীরার সাথে ও মিনালদেবীর সাথে দেখা করতে যাবেন।
,
,
,
মা,,,,,,,,, এখন তোমার শরীর কেমন আছে।মীরা মিনালদেবীর কেবিনে এসে ওনাকে জিজ্ঞাসা করলো।
,
আগের থেকে অনেক ভালো। মীরু,,,, একবার আয় তো আমার কাছে বস আমার পাশে তোর সাথে কথা আছে আমার কিছু।
,
মীরা বসলে মিনালদেবী মেয়ের দিকে সরাসরি চোখ তুলে বললেন,,,,,,রাজকে ভালোবাসিস তুই? নাকি এটা আমারই মতো কোনো ছলনার সম্পর্ক।
,
মায়ের মুখে এমন কথা শুনে চমকে তাকালো মীরা।
,
দ্যাখ মীরু আমার জীবনের সব কিছুই আমি তোকে খুলে বলেছি ।কোনোদিনের জন্যও লুকাবার প্রয়োজন মনে করিনি।কারণ আমি বাইরের জগতের ঘৃণা সহ্য করতে পারবো কিন্তু তোর চোখে আমার প্রতি কোনো রকমের ঘৃণা আমি সহ্য করতে পারবোনা রে মা।আর তাইতো তোকে সবটা খুলে বলেছি নিজের প্রতি সব অন্যায় হওয়া গুলো।
তাইতো তোকে নিয়েও আমার চিন্তা হচ্ছে রে মা,,তুইও কি আমার মতো কোন ভুল পথ না বেছে নিস।
,
মীরা ওর মায়ের মনের ভয় খুব ভালো মতোই টের পাচ্ছিলো।কারণ একটা মেয়ে বিবাহিত হওয়ার পরও যার স্বামী তাকে ও তার সন্তানকে অস্বীকার করে ,,সমাজে সেই নারীকে আর যাই হোক সম্মানের সাথে বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন হয়ে পরে। তাইতো মীরাও প্রথমে রাজবীরের প্রস্তাবে না করে দিয়েছিল।কিন্তু ছেলেটা এমন পাগলামি শুরু করেছে যে ও না চাইতেও ওর ভালোবাসায় জড়িয়ে পরেছে।
মীরা আর একটু কাছে এসে ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বললো,,,,,,,, আচ্ছা মা আমাকে আজকে একটা কথা বলবে,,,,সত্যি কথা।
,
কি কথা আর আমি কিন্তু তোকে কখনই মিথ্যে বলিনা সোনা।বল কি জানতে চাস।
,
আচ্ছা মা তুমি যখন ওই মানুষটার সাথে রিলেশনে ছিলে তখন কি তোমার কখনও মনে হয়েছে যে মানুষটার বুকের মাঝে আমি বড্ডো বেশি সেফ।কখন মনে হয়েছে মানুষটার হাতটা নিজের মাথায় থাকলে আর কিছুর প্রয়োজন নেই। বা ধরো মানুষটার সমস্ত অধিকার শুধুমাত্র তুমিতেই শেষ ,,আর তোমার সব অধিকার ওই মানুষটাকে নিয়েই।তোমার আসে পাশে কেউ যদি কোনো মানুষ তোমার প্রতি সামান্য দুর্বলতাও দেখায় তাহলে ওই মানুষটার শরীর জ্বলে ওঠে।তোমাকে সে কারোর সাথেই ভাগ করতে চায়না এমনকি নিজের সন্তানের সাথেও না।মনে হয়েছে কোনোদিন।
,
মিনালদেবী কিছুক্ষন অবাক হয়ে নিজের মেয়ের মুখের দিকে তাকালেন। এই যে সব অনুভূতির কথা মেয়েটা ওনাকে বলছে সেটা কোথাও না কোথাও নিজের মেয়ের সাথে রাজবীরের যোগ আছে। তাই ঠোঁটের কোনে একটা তৃপ্তির হাসি হেসে উনি বললেন,,,,,,,,,,,, মীরু যে মানুষটা প্রথম থেকেই ছলের আশ্রয় নিয়ে শুধু মাত্র আমার শরীরটার জন্য আমার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিল । আর যখন দেখলো তার আর আমার মাঝে আর এক জন আসছে তখন লোক লজ্জার ভয়ে সেই সন্তান ও আমাকে শেষ করার চেষ্টাও করেছে।যখন সে সেটাতে সফল হয়নি তখন নিজের অ্যাসিস্ট্যান্টকে দিয়ে কুপ্রস্তাব পাঠাতেও তার বুক কাপেনি।একবারও মনে হয়নি যাকে এইসব বলছেন বা করছেন সে তার সন্তানের মা।
আমি জানি রাজবীরের মতো ছেলে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের।আমি ছেলেটার চোখে তোর জন্য যে ভালোবাসা যে পাগলপনা দেখেছি তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে আমার মেয়ে একজন এমন মানুষের হাতে পরেছে যে তাকে তার থেকেও বেশি ভালোবাসবে। আর মা হয়ে নিজের সন্তানের এমন খুশি দেখে কে না খুশি হয় বল। আমি শুধু তোকে যাচাই করছিলাম যে তুই কোনো চাপে পরে এইসব করছিস না তো।কারণ আমি জানি আমার অপারেশনের জন্য অনেক টাকার দরকার।আর তুই নাতো ওই মানুষটার থেকে নিবি আর নাই তোর দাদাভাইয়ের থেকে। তাই আমার চিন্তা হচ্ছিলো।কিন্তু এখন আমি জানি যে পাগল ছেলেটা আমার এই পাগলি মেয়েটাকে ভালোবেসেছে সে সবকিছুই ঠিক করে দেবে।তার নমুনা আমি এই একদিনের মধ্যেই বুঝে গেছি।
,
মায়ের কথা শুনে মীরা ওর মায়ের গলা জরিরে বুকে মাথা দিয়ে বললো,,,,,,,,,, আমি সত্যি বলছি আমি কোনোদিন ভাবিইনি জানো কেউ আমার সবটুকু সো কিছু জেনে আমাকে এতটা ভালোবাসবে। সাহিলও ছোট থেকে আমার সাথে মিশেছে । তবুও কোনোদিন আমাকে এতটা বোঝেনি যতটা বীর আমাকে বুঝেছে।আমার না বলা সবটাই ও যেন কিভাবে বুঝে যায়।নিজের ভাগ্যের ওপর মাঝে মাঝে কেমন ভয় হয় ,,,সবটা ঠিক থাকবে তো ! নাকি ভোরের স্বপ্নের মতোই ভেঙে যাবে।
,
মিনালদেবী মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে স্নেহচুম্বন দিয়ে বললেন,,,,,,,, যে মানুষটা তোর হাত ধরেছে সে কিন্তু খুব সাধারণ মানুষ নয়। আর সে যখন এতকিছুর পরেও তোর সাথে আছে তাহলে তুই নিশ্চিন্তে থাক সে কোনোদিনও তোর হাত ছেড়ে যাবেনা। ছেলেটা ভালোবাসা পাওয়ার কাঙাল রে ,,যেমন তুই তাই ভগবান তোদের দুজনকে এক করেছে।যাতে তোরা দুজন দুজনের পরিপূরক হয়ে উঠতে পারিস।
,
আমি সব রকম ভাবে চেষ্টা করবো মা।
মাআআআ,,,,,,,,
,
হম্মম সোনা বল।
,
উমমম বলছি যে আমি না,,,,মানে,,,
,
আরে কি বলবি বলনা,,,,,,, আমার কাছে এতো দ্ব্বিধা কিসের তোর।
,
মা আমি অনিতা আন্টিকে ফোন করেছিলাম তোমার ভর্তি ও অপারেশনের কথাটা বলার জন্য।
,
উনি সব শুনে আসবে বলেছিলেন আর কত টাকা লাগবে সেটাও জিজ্ঞাসা করছিলেন।কিন্তু আমি বলেছি ওনাদের এই নিয়ে ভাবতে হবেনা । আমি আগেই সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।
আর তাইইই তিনি,,,,,
,
আর তাই তিনি কি মীরু,,,,কি বলেছে অনিতা।
,
মা আন্টি চায় তোমার অপারেশন হবার ওর আমার আর সাহিলের বিয়েটা যেন হয়ে যায়।
,
কিহ,,,অনিতা এটা বলেছে। ওর লজ্জা লাগলোনা ওর ছেলে যে কাজটা করেছে তারপরেও কোন মুখে ও বিয়ের কথা তোলে।
,
মীরা চমকে তাকিয়ে বলে,,,,তুম,,,মি কি,,করে জানলে।
,
মীরা আমি তোর মা। তোর একবারও মনে হলোনা এতবড়ো কথাটা তুই আমাকে না বলে দুঃখে ক্লাবে গিয়ে ড্রিংক করছিলিস। কেনো,,,,,, যতদূর আমি জানি তুই তো সাহিলকে প্রথমে বিয়েই করতে চাসনি।তাহলে ও যেটা করেছে তার জন্য তোর কিসের দুঃখ।
,
মীরা মিনালদেবীর কথা শুনে মাথা নিচু করে নিলো।তারপর কিছুক্ষন অপেক্ষা করে বললো,,,,,, আসলে আমি ওদের ওই রকম অবস্থায় দেখে কষ্ট পাইনি মা।আমি কষ্ট পেয়েছিলাম বিশ্বাসঘাতকতার জন্য।তাও সেটা ভালোবাসার জন্য নয় বন্ধুত্বে বিশ্বাস হারানোর জন্য।
তুমি তো জানো মা আমি তৃনাকে শুধু নিজের বন্ধু না নিজের বোনের মতোই ভালোবাসতাম। ও যদি আমাকে একবার বলতো মীরু আমি সাহিলকে ভালোবাসি তাহলে বিশ্বাস করো আমি এই সম্পর্ক কবেই ভেঙে দিতাম।কিন্তু ওরা কি করলো দিনের পর দিন আমার বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে আমার পিঠ পিছে আমাকে ধোঁকা দিয়ে গেছে।শুধু সেটা হলেও মেনে নিতাম মিস্টার রাজপূতের সাথে মিলে ডিল করেছিল,আমাকে সাহিল বিয়ে করে নিলে আমার নামে যে প্রপার্টি আছে সেটা সাহিলের নামে ট্রান্সফার করে দেবে।আর তার বদলে আমাকে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টে রাজি করাবে।যখন দুপক্ষই নিজেদের লাভ গুছিয়ে নেবে তখন সাহিল আমাকে ডিভোর্স দিয়ে তৃনাকে বিয়ে করে নেবে।
কথাগুলো বলতে বলতে ঘৃনায় মীরার চোখে জল চলে আসে।
,
জানিস তো কথায় আছে ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন।ভাগ্গিস তুই সেদিনকে ওদের আসল রুপ দেখতে পেয়েছিলিস,ভাগ্গিশ সেদিন তুই বারে গেছিলিস আর সেদিন তোর সাথে রাজবীরের দেখা হয়েছিল।তাইতো এদের এতো গভীর চক্রান্ত তুই আমি দুজনেই জানতে পারলাম। তাই এখন আর এইসব ভেবে লাভ নেই।যেটা হওয়ার হয়ে গেছে এবারে খুব সাবধানে পথ চলতে হবে তোদের।আমি জানি এতো সহজে ওই সাহিল বা মৈনাক তোকে রেহাই দেবেনা।কিন্তু আমার রাজবীরের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে ও কোনোদিন তোর গায়ে একটা আঁচড়ও লাগতে দেবেনা।
,
মায়ের কথা শুনে লজ্জা পেলো মীরা।
,
থাক আর অত লজ্জা পেতে হবেনা।তবে সত্যি কথা বলতে কি জানিস সাহিলের সাথে তোর বিয়ের কথা যতই হোক আমি কিন্তু এই সম্পর্কটাকে মন থেকে কোনোদিনই মানতে পারিনি।শুধুমাত্র অনিতা আর প্রকাশদার আমাদের ওপর করা সাহায্যের জন্যই আমি মুখ বুজে মেনে নিয়েছিলাম।নাহলে সাহিলের মতো এমন একটা জঘন্য ছেলের সাথে তোর বিয়ে দেওয়া তো দূর ওকে তোর ধারের কাছেও আসতে দিতামনা।
,
ছাড়ো মা আর এইসব ভেবোনা।আমি অনিতা আন্টিকে বলে দিয়েছি।উনি যদি তোমাকে দেখতে আসেন তবে তুমিও জানিও কিন্তু এতো কিছু বলার দরকার নেই যদিনা প্রয়োজন হয়।
,
হম্ম তুই ঠিকই বলেছিস।আচ্ছা রাজবীর কোথায় গেলো কারণ তোকে আর ওকে দুজনকেই তো আমি ডেকে ছিলাম।
,
মা,,,,,আসবো,,,,,,ওদের কথার মাঝেই রাজবীরকে ওদের কেবিনে ঢুকতে দেখলো।
,
মায়ের কাছে আসার জন্য পারমিশনের দরকার নেই রাজ। আর আমি এমনিতেই তোমাদের দুজনকেই একসাথে আসতে বলেছিলাম।তাও তুমি পরে এলে।
,
আসলে আমি ইচ্ছে করেই আসিনি।আমি চেয়েছিলাম মা মেয়ে দুজনেই সবটা জেনে সবকিছু ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিক।
,
মিনালদেবী রাজবীরের কথা শুনে হেসে বললো আমি ওকে ভুল বুঝিনি শুধু ওর ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছি।
,
আচ্ছা যাইহোক মা তুমি ওর সাথে কথা বল আমি দেখি তোমার লাঞ্চটা নিয়ে আসি।
,
তুমি কেন যাবে কাউকে একটা বলে দিলেই সে দিয়ে যাবে।
,
না মানে আমি মায়ের জন্য নিজের হাতে খাবার বানাবো । ডক্টর রামানুজ যেমন ভাবে বলে দিয়েছেন তেমন করেই।
,
কিন্তু মীরু এই হসপিটালে তুই কি ভাবে রান্না করবি।মানে ওনারা তোকে এলাও করবে কেন।
,
সেটা তুমি বরং তোমার ছেলে রাজবীরকেই জিজ্ঞাসা করো।উত্তরটা ওই ভালো দিতে পারবে । তোমরা গল্প করো আমি আসছি।
FAQ
- এই Complicated Relationships এ তৃণা ও সাহিলের চক্রান্ত মীরা ধীরে ধীরে জানতে পারলেও এখনো কিছু গোপন রয়ে গেছে। মীরার কৌতূহল ও তার প্রশ্নগুলো কি সাহিলকে নিজের দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করবে?
- সাহিল যে সহজে মীরার জীবন থেকে সরে যাবে না, তা মীরা ও তার মা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু এই Romantic Drama তে সাহিলের পরিকল্পনার পরিণতি কী হতে পারে, এবং তার বিরুদ্ধে মীরা ও রাজবীর কি করে নিজেদের রক্ষা করবে?
Thanks for your feedback